আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শেষ হচ্ছে শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টায়। সেই হিসাবে প্রচার- প্রচারণার শেষ দিন আজ। ফলে শেষ দিনের প্রচার- প্রচারণায় ব্যস্ত রাজনৈতিক দল প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা। প্রার্থীরাও তাদের নির্বাচনি এলাকায় বড় ধরনের শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার সকাল ৮টায় প্রচার প্রচারণা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোনও প্রার্থী জনসভা, পথসভা, মিছিল বা শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারবেন না।এদিকে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনি প্রচারণার শেষ দিনে বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) শেষ নির্বাচনি জনসভায় অংশ নেবেন। ঢাকার অদূরে বন্দরনগরী নারায়ণগঞ্জে এই জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রচার-প্রচারণা শেষ হওয়ার এক দিন বাদে ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ২৯৯টি আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নওগাঁ-২ আসনে একজন প্রার্থী মারা যাওয়ায় ওই আসনের ভোট বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (আরপিও)-এর ৭৮ ধারায় নির্বাচনে প্রচারের সময়সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ভোট গ্রহণ শুরুর ৪৮ ঘণ্টা এবং ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে নির্বাচনি এলাকায় কোনও জনসভা আহ্বান এবং অন্য কেউ জনসভার আয়োজন করলে সেখানে অংশ নেওয়া যাবে না। এমনকি মিছিল, শোভাযাত্রা বা এ ধরনের কর্মসূচি আয়োজন বা অংশগ্রহণ কোনোটিই করা যাবে না।
এদিকে ভোটের মাঠের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয় নিয়ে বুধবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন। বৈঠকে বাহিনীগুলোর প্রধানরা মাঠের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পুরোটাই ইসিকে অবহিত করেছেন। ইসির পক্ষ থেকেও তাদের সর্বশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনের দিন সকালে ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপার পৌঁছাবে। অবশ্য চার হাজারের বেশি দুর্গম ভোটকেন্দ্রে বৃহস্পতিবার ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। যাতায়াত পথ বিবেচনায় এসব কেন্দ্রে আগের দিন ব্যালট পেপার পাঠানো হচ্ছে।
Somajer Alo24
Leave a Reply