নিজস্ব প্রতিবেদক:
আওয়ামী লীগের প্রভাব বিস্তার করে প্রতিদিনের কাগজের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহমুদুল হাসান রতনকে অস্ত্রের মুখে ব্ল্যাকমেইল করে জোরপূর্বক পত্রিকাটি লিখে নিয়ে এবং পত্রিকা অফিসটি দখল করে খাইরুল আলম রফিক বনে যান পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক।
গত সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) তথ্য মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর প্রতিদিনের কাগজের প্রধান সম্পাদক খাইরুল আলম রফিকের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে গত ১২ ফেব্রুয়ারী (বুধবার) তথ্য মন্ত্রনালয়ের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন, মো: শহিদুল ইসলাম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,
ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ এর সম্পাদক ও প্রকাশক মাহমুদুল হাসান রতনকে অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক পত্রিকাটি লিখে দিতে বাধ্য করেন সাবেক এমপি এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ। সাবেক এমপি আনিছ পত্রিকাটির উপদেষ্টা সম্পাদক হন এবং প্রধান সম্পাদক হন রফিক। রফিকের স্ত্রী ইয়াসমীন শিলাকে করা হয় সম্পাদক ও প্রকাশক। আঞ্চলিক পত্রিকা হলেও এমপির পত্রিকার পরিচয়ে ঢাকায় ৩৮/১ আরামবাগ, মতিঝিলে অফিস নিয়ে দেশব্যাপী সাংবাদিক নিয়োগের মাধ্যমে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেন। আঞ্চলিক পত্রিকাকে জাতীয় পত্রিকা হিসেবে প্রচার করে দেশব্যাপী ব্যাপক চাঁদাবাজীর রাজত্ব গড়ে তোলেন। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মিডিয়াভুক্ত পত্রিকা না হয়েও সরকারী বিজ্ঞাপন ছাপানোর মাধ্যমে সরকারী অর্থ হাতিয়ে নেন এবং অসাধু কর্মকর্তাদের সরকারী অর্থ আত্নসাতের সুযোগ করে দিতেন। আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর পত্রিকাটির প্রিন্টার্স লাইন থেকে সাবেক এমপির নাম সরিয়ে ফেলেন রফিক। বর্তমানে আন্ডারগ্রাউন্ডে থেকে পত্রিকাটির প্রকাশনা চালাচ্ছেন।
আরো জানা যায়, ২০১৮ সালে ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত দৈনিক ময়মনসিংহ প্রতিদিন পত্রিকার দখলসহ মালিকানা দাবী করেন। পত্রিকাটির সম্পাদক ড. মো: ইদ্রিস খানকে মামলা ও ব্লাকমেইলিং এর মাধ্যমে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেন। সাবেক এমপি এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ এবং আওয়ামীলীগের প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে প্রতারণা শুরু করেন। ময়মনসিংহে তার বিরুদ্ধে ১৫-২০ মামলা হয়। একাধিকবার এসব মামলায় কারা বরণ করেন রফিক। পুলিশ প্রশাসনের অসাধু কিছু কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজসে তার নামীয় মামলাগুলোর তথ্য অনলাইন রেকর্ড থেকে সরিয়ে ফেলে রফিক। জৈনক এক দৈনিকের সাংবাদিকের অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে বলে জানান ঐ সাংবাদিক। ত্রিশালসহ সারাদেশে রফিকের প্রতারণা ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন অসংখ্য নিরীহ মানুষ। রাজনৈকি প্রভাব দেখিয়ে এবং সাংবাদিক পরিচয়ে অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে যোগ সাজশে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা। তার এমন অপকর্মের কারণে ময়মনসিংহ ছাড়তে হয়।
উল্লেখ্য, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে আন্দোলন কারীদের নিয়ে বিদ্রুপ ও উস্কানীমূলক কথাবার্তাও ফেইসবুকে পোষ্ট করেন আওয়ামী দালাল সাংবাদিক রফিক। স্বৈারাচার সরকারের পতনের পর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ব্যানারে ত্রিশালে রফিকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করা হয় । সাজানো ও রফিকের পরিকল্পনায় তার বাসার সিসি ক্যামেরা ভাঙ্গচুর করা হয়। এঘটনায় ছাত্রদের নামে আদালতে আইসিটি আইনে মামলাও করে রফিক।
Somajer Alo24
Leave a Reply