নিজস্ব সংবাদদাতা:
জীবন রক্ষাকারী ওষুধ টাপেন্টাডল, পেন্টাডল, ট্যাপেন্টাসহ বিভিন্ন নামের ব্যথানাশক ট্যাবলেট গুলো ‘খ’ শ্রেণীর মাদক হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। বিক্রি নিষিদ্ধ করা হলেও ফুলবাড়ীয়া উপজেলার এনায়েতপুরের আনাচে-কানাচে অসাধু ঔষধ ব্যবসায়ীরা নেশা জাতীয় ওই সব ট্যাবলেট অবাধে বিক্রয় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ব্যাপক চাহিদার সুযোগে অসাধু ফার্মেসিগুলো নির্ধারিত দামের চেয়ে ৫/৭ গুণ বেশিদামে বিক্রি করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছেন।
হেরোইন, ইয়াবার দাম বেশি হওয়ার কারণে বিকল্প হিসেবে কম খরচে সেবন করতে পারে এবং হাতের নাগালে পাওয়ায় দরিদ্র শ্রেণীর মাদকসেবীরা এখন ভিড় করছে ওষুধের দোকানে। এই সুযোগে কিছু অসাধু ঔষধ ব্যবসায়ী আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবাধে বিক্রি করছে।
এছাড়া ফেন্সিডিলের বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন নামের ঘুমের ট্যাবলেট, ভিটামিন ট্যাবলেট সিভিট ও টমিফিন সিরাপ দিয়ে ঝাটকা, ঝাঁকি ও ফুটুস নামের মিক্সার তৈরি ফেন্সিডিলের বিকল্প হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে দেদার। এসব ঝাটকা আর ঝাঁকিতে দুলছে আর টলছে তরুণ ও যুব সমাজ। মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের ভিড়ে অসাধু ওষুধ ব্যবসায়ীর আশপাশের অন্য পণ্যের ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ। ঐ সমস্ত ব্যবসায়ীরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের ওই সব দোকানের বিরুদ্ধে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনে অভিযোগ করতেও ভয় পান বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যারা মাদক সেবন করে তাদের বেশির ভাগের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ এর মধ্যে। ফলে দিন দিন ধ্বংসের মুখে চলে যাচ্ছে তরুণ ও যুব সমাজ। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পরিবারিক বন্ধন ও শান্তি-শৃঙ্খলা। সৃষ্টি হচ্ছে বিয়ে বিচ্ছেদসহ নানা ধরনের জটিলতার।
চলবে…
Somajer Alo24
Leave a Reply