লিয়াকত হোসেন লিমন, চট্টগ্রাম:
বন্দর নগরী চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদীঘির ময়দানে অনুষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলার ১১৬ তম আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কুমিল্লার ‘বাঘা’ শরীফ।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ১১৬ তম আসরে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) কুমিল্লার আরেক বলী রাশেদকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে ফাইনালে মুখোমুখি হন বাঘা শরীফ ও রাশেদ বলী। ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানের অস্থায়ী মঞ্চে শুরু হয় এ বলীখেলা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ১২০ জন বলী অংশ নেন এবারের আসরে।
বলি খেলার শুভ উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ।
খেলা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শাহনেওয়াজ।
বলীখেলা দেখতে দুপুর থেকেই ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দান ছিল হাজারো নারী পুরুষের উপচে পড়া ভিড়। ঐতিহ্যবাহী এ বলীখেলা দেখতে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। ঢোলের তালে তালে দর্শকদের খুশিতে মুখর ছিল পুরো মাঠ।
জব্বারের বলীখেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব আব্দুল জব্বার সওদাগরের নাতি শওকত আনোয়ার বাদল জানান, বলীখেলার ১১৬তম আসরে এবার রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১৪৭ জন বলী। এতে জাতীয় পর্যায়ের বলীরাও এবার অংশ নিয়েছেন।
এদিকে, আবদুল জব্বারের বলীখেলা ঘিরে নগরের লালদীঘি মাঠ ও এর আশপাশের এলাকাজুড়ে বসেছে তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলা। সিনেমা প্যালেস থেকে লালদীঘি মোড় হয়ে শাহ আমানত মাজার গেট। অপরদিকে আন্দরকিল্লা এলাকা থেকে কোতোয়ালী মোড় পর্যন্ত বসেছে এ মেলার দোকানপাট। মেলা থেকে ঘুরে ঘুরে পছন্দ মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনছেন নারী-পুরুষ, শিশু সবাই।
উল্লেখ্য, ১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের বদরপাতি এলাকার ধনাঢ্য ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর এই বলীখেলার সূচনা করেন। তার মৃত্যুর পর এটি জব্বারের বলীখেলা নামে পরিচিতি লাভ করে। ১৯০৯ সাল থেকে চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে প্রতি বছরের ১২ বৈশাখ অনুষ্ঠিত হয় এই জব্বারের বলীখেলা।
প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ কর্তৃক পুরুস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষে হয়।
Somajer Alo24
Leave a Reply