নিজস্ব প্রতিবেদক :
ময়মনসিংহে যথাসময়ে হলরুম খালি করে না দেওয়ায় ভুল বুঝাবুঝি ও ক্ষোভে ডিসির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এতে হতাশ ময়মনসিংহবাসী। জানা যায়, বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের বৃত্তির চেক বিতরণের জন্য সিডিউল ছিল। সে অনুযায়ী ঢাকা থেকে সাংবাদিকরা আসেন।
এসে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ঘন্টাখানেক বসে থাকলেও তাদের জন্য সম্মেলন কক্ষ খালি করে দেওয়া হয়নি। এতে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন ও রাস্তায় গিয়ে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ করেন। চেক বিতরণের সময় বক্তারা ডিসির বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে বক্তব্য দেন। জুলাই আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর সৎ, যোগ্য ও নামাজী জেলা প্রশাসক মো. মুফিদুল আলমকে অভিযুক্ত করে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদও প্রকাশ করা হয়। এতে হতাশ হয়েছেন ময়মনসিংহের নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।
জানা যায়, ওইদিন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের হলরুমে বৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল দুপুর ১২টায়। এদিকে, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠক যথাসময়ে শেষ না হওয়ায় চেক বিতরণ অনুষ্ঠানটি এক ঘণ্টা পিছিয়ে যায়। এতে ক্ষুব্ধ হন সাংবাদিকরা।
সূত্র জানায়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার আগেই জেলা প্রশাসকের অনুপস্থিতিতেই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এম আব্দুল্লাহ সেখানে উপস্থিত না হয়ে রাস্তায় চেক বিতরণ করেন। ডিসির অনুপস্থিতিতে রাস্তায় চেক বিতরণ যদিও সুন্দর হয়নি তবু তারাই আবার ডিসির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন অনেকে। এমনকি ঘটনাটিকে একটি ষড়যন্ত্র বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।
এদিকে, সাংবাদিকদের কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণে ডিসিকে জড়িয়ে যেসব অনিয়মের কথা ছড়ানো হচ্ছে এগুলো মিথ্যা, গুজব ও বানোয়াট বলে দাবি করে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন মহল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম জানান, অনুষ্ঠানটির জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সঠিক সময়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মিটিংটি শেষ না হওয়ায় ও কিছুটা বিলম্ব হওয়ার কারণে বিঘ্ন ঘটেছে ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে এরকম হয়ে যায় হঠাৎ। এর জন্য তিনি দায়ী নন বলেও জানান।
জেলা প্রশাসক জানান, তার রুমে অতিথি ও সাংবাদিকরা অপেক্ষা করছিলেন। ধারণা ছিল, তারা তাকে না জানিয়ে যাবেন না কিন্তু অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার আগেই তারা না জানিয়ে চলে যান এবং রাস্তায় চেক বিতরণ করেন। এরপর তার বিরুদ্ধে বিষোদগার করা হয়। বিষয়টি নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে অভিহিত করে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এখানে তার কোন অনিয়ম হয়নি।
এ ঘটনার পর কিছু গণমাধ্যমে জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ পরিবেশন করা হয়। জেলা প্রশাসক এর নিন্দা জানিয়ে বলেন, তার বিরুদ্ধে এটি একটি পরিকল্পিত আক্রমণ। যার মাধ্যমে তাকে বিতর্কিত করা হয়েছে।
Somajer Alo24
Leave a Reply