ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মহাসিন উদ্দিন ফকিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও টাকার বিনিময়ে ভুয়া জখমি সার্টিফিকেট প্রদান বিষয়ে তদন্ত করতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি ভাঙ্গা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন।
গত (৬ মার্চ) বুধবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হল রুমে বসে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন।
মো: সুরুজ্জামান নামের একজন ভুক্তভূগির আবেদনে গত (০৬ মার্চ) অনিয়ম ও দুর্নীতি বিষয়ে তদন্তে জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হন দুর্ণীতি দমন কমিশনের প্রধানকার্যালয়ে সুপারিশকৃত গঠিত তদন্ত কমিটির ৩ সদস্য। তারা হলেন, তদন্ত বোর্ডের সভাপতি ফরিদপুর জেলার সিভিল সার্জন ডাক্তার মো: সিদ্দিকুর রহমান,তদন্ত বোর্ডের সদস্য ফরিদপুর জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা:শাহ মোহাম্মাদ বদরুদ্দোজা , ও সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মোহাম্মদ ওমর ফয়সাল।
বিভিন্ন সূত্রে জানাগেছে, যোগদান করার পর থেকেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্রটি প্রকাশ্যে আসে। অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। এহেন কোন খারাপ কাজ করতে দ্বীধা বোধ করেন নাই তিনি। ভাঙ্গা উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুর্ণীতির টাকা দিয়ে তিনি তার নিজ বাড়ি রাজৈর উপজেলার সমঙ্গল গ্রামে আলিশান বাড়ি,ফরিদপুর সারদা সুন্দরি কলেজে পাশে ইউনাইডেট টাওয়ারে ফ্লাট ক্রয়,কালো কালারের ব্যান্ড নিউ এক্সিও প্রাইভেটকার ,নামে-বেনামে জমি,ফ্লাট ক্রয় করেছে ঢাকা ও ফরিদপুরে।
অভিযোগকারী মো: সুরুজ্জামান জানিয়েছেন, তদন্ত কার্যক্রম ভিন্নখাতে নিতে তৎপর ছিলেন অভিযুক্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মহাসিন।গোপনে তিনি ফরিদপুর জেলার সিভিল সার্জন ডাক্তার মো: সিদ্দিকুর রহমান ও ওপর দুই সদস্যকে ম্যানেজ করে গত ১৪.০২.২৪ তারিখে আমাকে মৌখিক বা চিঠি আকারে না জানিয়ে তদন্ত করে ফেলেছিল,কিন্তু আমি জানতে পেরে তদন্ত কমিটি ও সাংবাদিকদের জানালে গতকাল পুনরায় তদন্ত কমিটির সভাপতি ডাক্তার মো: সিদ্দিকুর রহমান তদন্ত করতে রাজি হন। আমার এখনও মনে হয় তদন্তকারি কর্মকর্তাদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে তদন্তের কাজ শেষ করতে পারেন। এমন ঘটনা আমার নিকট প্রতিয়মান হলে আমি সাংবাদিকদের কাছে যাই সাহায্যের জন্য। এই দুর্ণীতিবাজ কর্মকর্তা ডা: মহাসিন উদ্দিন ফকির হাসপাতালে তার একটা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তিনি জখমি সার্টিফিকেটের ব্যবসা করতেন।আমি মাথায় জখম নিয়ে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি হই,আমাকে চিকিৎসকরা ৩৭ টা সিলাই দেয়।এরপরও আমার বিপক্ষ দল হতে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নরমাল মেডিকেল সার্টিফিকেট দেন হাসপাতাল কতৃপক্ষ ডা: মহাসিনের সিন্ডিকেটের হুকুমে।আমি এই দুর্ণীতিবাজ ডা: মহাসিনের কঠোর বিচার চাই কারন আমার মতো আর কেহ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। আমি আশা করি তদন্ত কমিটি নিরপেক্ষ তদন্ত করবে,এবং সুষ্ঠ তদন্ত রিপোর্ট দিলে ডা: মহাসিনের শাস্তি হবেই।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মহাসিন উদ্দিন ফকিরকে তার মুঠো ফোনে একাধিক বার কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
তদন্তের বিষয়ে ভাঙ্গা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ডা: তরুন পাল বলেন,আমি তো তদন্ত কমিটির সদস্য না,তিন সদস্য কমিটির সদস্য তাদের কার্যক্রম শেষ করে গেছে।
তদন্ত বোর্ডের সভাপতি ফরিদপুর জেলার সিভিল সার্জন ডাক্তার মো: সিদ্দিকুর রহমান বলেন, তদন্তে বেশকিছু তথ্য উপাত্ত পেয়েছি।এগুলো আরো যাচাই বাছাই চলছে। তিনি বলেন, আশা করছি সঠিক সিদ্ধান্ত আপনারা জানতে পারবেন।
Somajer Alo24
Leave a Reply