শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ০৩:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ভবিষ্যতের বাংলাদেশ হবে তারুণ্য নির্ভর; সীতাকুণ্ডে ছাত্রদলের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় লায়ন আসলাম চৌধুরী সাংবাদিক সোহাগ আরেফিন এর মান ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা; সিআরএ’র নিন্দা ও প্রতিবাদ কুড়িগ্রাম জেলার উন্নয়নে মানুষ আর মিথ্যে প্রতিশ্রুতি চায় না: সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি ইজারা বাতিল ও রাখাইনে করিডোর দানের ষড়যন্ত্র রুখতে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা; স্কপ চট্টগ্রামে বেওয়ারিশ বৃদ্ধাশ্রমে রান্না করা খাবার বিতরণ কাল চট্টগ্রামে পথশিশু ও ছিন্নমূল মানুষের সাথে ঈদের খুশি ভাগাভাগি করে নিতে ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠিত কুড়িগ্রামে ৭৮টি কোরবানির গরু নিয়ে দুঃস্থদের পাশে যাকাত ফাউন্ডেশন অব আমেরিকা চট্টগ্রামে বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৫ উপলক্ষে ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি নেতা আব্দুর রাজ্জাক চট্টগ্রামে সিডিএ’র প্লানিং ছাড়াই ব্যবসায়ীর জায়গা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ; প্রশাসন ও সিডিএ’র নিরবতা

আলুর দাম বেশি হলেও হাসি নেই শেরপুরের কৃষকের মুখে

মোহাম্মদ দুদু মল্লিক, শেরপুর:
  • Update Time : শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৪
  • ২৩২ Time View

মোহাম্মদ দুদু মল্লিক, শেরপুর প্রতিনিধি:
প্রতিবছর শেরপুর জেলার চরাঞ্চলে বাম্পার ফলন হয় আলুর।

গত বছর এ জেলায় আলু চাষীরা ১২ থেকে ১৫ টাকায় পাইকারি দরে আলু বিক্রি করলেও এবার বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ২৮ টাকায়। তারপরও তাদের মুখে হাসি নেই।

ইতোমধ্যে জেলায় আলু তোলার কাজ প্রায় শেষের দিকে। এখন কেউ কেউ আগামীতে অধিক লাভের আশায় কোল্ড স্টোরেজে আলু রাখছে। আবার কেউ কেউ টাকার প্রয়োজনে ক্ষেত থেকেই পাইকারদের কাছে আলু বিক্রি করে দিচ্ছে।

 

জানা গেছে, প্রতিবছর শেরপুর জেলার চরাঞ্চলে ডিসেম্বর মাস থেকে আলুর আবাদ শুরু করা হয়। ওই আলু কৃষকরা মার্চ মাসের মধ্যে উত্তোলন করে কিছু বাজারে বিক্রি করে এবং কিছু কোল্ড স্টোরেজে রেখে জমা করে। জেলার মধ্যে শেরপুর সদর উপজেলার চরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি আলুর আবাদ করা হয়।

এ আলুর আবাদ উপলক্ষে চরাঞ্চলের শত শত হতদরিদ্র নারী-পুরুষ আলু ক্ষেতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে।

 

আলু চাষিরা জানায়,এবার এক একর জমিতে আলু চাষ করতে সার,বিষ,নিড়ানি,পানি ও শ্রমিক খরচ দিয়ে তাদের প্রায় ১ লাখ ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে এবং আলু ফলন হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ বস্তা।এর আগে, প্রতি একরে খরচ হয়েছে ১ লাখ টাকা এবং উৎপাদন হয়েছিল ৮৫ থেকে ৯০ বস্তা। গত বছর পাইকারি বাজার ছিল ১৩ থেকে ১৬ টাকা আর এবার পাইকারি বাজার ২৩ থেকে ২৭ টাকা।

 

কিন্তু তারপরেও কৃষকের মুখে হাসি নেই।
কারণ হিসেবে তারা বলছেন- আবাদের শুরুতে প্রচণ্ড শীতের কারণে কিছু আলু রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হয়। এতে ফলন অনেক কম হয়েছে। তবে আলুর দাম এবার বেশি থাকায় লসের মুখ দেখতে হবেনা বলে জানান।এ বিষয়ে লছমনপুর ইউনিয়নের মোকছেদপুর গ্রামের আলু চাষি মাওলানা

মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান জানায়,তিনি ৯ একর জমিতে এবার আলুর আবাদ করলেও ফলন গত বছরের চেয়ে অনেক কম হয়েছে।এছাড়া উৎপাদন খরচও অনেক বেশি হওয়ায় লাভ কমে গেছে।

কৃঞ্চপুর গ্রামের নূরন্নবী হোসেন জানায়,এবার বিএডিসির প্রজেক্টের মাধ্যমে যারা আলু চাষ করেছে তারাও এবার দাম বেশি পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করলেও কোল্ড স্টোরেজে রাখা আলু বিক্রির সময় বাজারের দাম না বাড়লে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে চলতি বছর আলুর ফলন কম হওয়ার বিষয়টি কৃষি বিভাগ স্বীকার করেছে।

উপ-পরিচালক ড. সুকল্প দাস জানান, এবার ফলন কম হলেও দাম বেশি থাকায় কৃষকরা লোকসানের মুখে পড়বে না। এছাড়া শীত জনিত কারণে আলুর যে ব্লাস্ট রোগ হয়েছিল কৃষি বিভাগ কৃষকদের সহায়তা করার কারণে ক্ষতির পরিমাণ অনেক কম হয়েছে।

স্থানীয় কৃষকদের দাবি, সরকার যদি আগামীতে কৃষকদের স্বার্থে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে সেক্ষেত্রে তারা লোকসানে মুখে পড়বে। এতে করে পরবর্তীতে তারা আলু চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে কৃষক পরিবার গুলো।

তাই জেলার হাজার হাজার আলু চাষীদের স্বার্থে সরকার কঠোরভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে,এটাই প্রত্যাশা কৃষকদের।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Advertise

Ads

Address

প্রধান কার্যালয় :৩৭৯/৩ কলেজ রোড (আমতলা) আশকোনা ঢাকা - ১২৩০ Email:somajeralonews24@gmail.com Contact  :01823634261 Office:01924751182(WhatsApp) Video editor :01749481920
© All rights reserved 2023

Somajer Alo24