শেখ মামুনুর রশীদ মামুনঃ
ময়মনসিংহ শহরের তাজ মহল মোড়ে জেসি গুহ রোডের এক একটি আবাসিক হোটেল যেন মিনি পতিতালয়। এ সকল কম দামী হোটেলে হরদম দেহ ব্যবসা হয়। বিভিন্ন ধরনের বর্ডারগন মেয়ে নিয়ে আসে নয়তোবা হোটেলের কর্মচারী বা ম্যনেজারগন মেয়ে জোগার করে দেয়। এ সকল হোটেলের দর্জায় রয়েছে বিশেষ ধরনের ছিদ্রপথ। যা দিয়ে নামীদামী খদ্দেরদের ভিডিও ধারন করে ব্ল্যাক মেইলিং করা হয়। এদিক দিয়ে খাজা গেষ্ট হাউজের নাম ব্যাপক প্রচার রয়েছে।
জেসি গুহ রোডের এ সকল হোটেল গুলো মূলত ম্যনেজারগন ভাড়া নিয়ে পরিচালনা করে। হোটেল গুলোর পরিবেশ তেমন ভালো নয়। চাকচিক্কের মূল ফটকের পর এখানে অন্ধকার পরিবেশ। প্রতিটি হোটেলে রয়েছে একজন করে নারী। ঝাড়ুদার হিসেবে রাখা হলেও কোন কোন সময় এদের দিয়েই চাহিদা পূরন করা হয়। জুটিদের ফাদে ফেলে এরা প্রচুর অর্থ কামিয়ে নেয়। কক্ষের ছিদ্রপথ দিয়ে ভিডিও ধারন করে বিভিন্ন সময় কতিথ পুলিশ পরিচয়ের লোক হাজির করে করা হয় মোটা অংকের টাকা আদায়! এমন ফাঁদে কিশোর, যুবকসহ নানা বয়সের লোকেরা অনেকবার পড়েছে। খাজা গেষ্ট হাউজে এমন জুটি আটকিয়ে টাকা আনাতে বিলম্ভ হওয়ায় রুমে দিন ব্যাপী আটকিয়ে রাখার অভিযোগ রয়েছে। আবার হোটেল মালিক এদের ভোগ করার অভিযোগ রয়েছে। সম্মানের ভয়ে তারা অভিযোগ করেনি। আশপাশের হোটেল গুলোর মধ্যে খাজা হোটেলের সমালোচনাই বেশী।
স্থানীয় হোটেল গুলোর মধ্যে রয়েছে, রূপ মহল, হাফিজিয়া, খাজা ও মালেক গেষ্ট হাউজ ।
খাজা গেষ্ট হাউজের ম্যনেজার উজ্জল খান তার হোটেলের একাধিক কক্ষের দর্জায় ধর্মীয় ছিদ্রপথ রয়েছে। এগুলো বিশেষ আঠালো দিয়ে বন্ধ রাখা হয়। রাতে বা দিনে জুটিদের মিলনের সময় ছবি বা ভিডিও ধারন করে পুলিশ দিয়ে ব্ল্যাক মিলিং করে থাকে । এমন প্রচারনা অনেক। গফর গাও এর এক ভোক্তভোগী একজন পুলিশ অফিসারের নাম বলেছেন। তবে স্থানীয় হোটেলের কর্মচারীরা সেই পুলিশ অফিসারের নাম না জানাতে চাইলেও আকার ইঙ্গিতে প্রকাশ করেছেন। এ ধরনের ব্ল্যাক মেইল খাজা গেষ্ট হাউজে হয় বলে তারা অভিযোগ করেন।
ময়মনসিংহ রেলওয়ে ষ্টেশন মসজিদের ঠিক উল্টো পাশেই অবস্থান হোটেল গুলোর। মাদ্রাসার জানালা দিয়ে এই চিত্র দেখা যায়। সর্বমহলেই এর সমালোচনা রয়েছে। মাদরাসার একজন শিক্ষক জানান, হোটেল গুলোতে এ ধরনের কার্যকলাপ নিন্দনীয়। অনেক সময় জানালা দিয়ে অনৈতিক কাজের দৃশ্য দেখা যায়। খাজা গেষ্ট হাউজের জানালা বেশীর ভাগ সময় খোলাই থাকে। পুলিশ প্রতিরাতেই এ সকল হোটেল গুলোতে অভিযান চালালেও কেউ আটক হয়না। হোটেল গুলোতে অসামাজিক কার্যকলাপ হলেও অজ্ঞাত কারনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছেনা বলে জানান স্থানীয়রা। এসমস্ত আবাসিক হোটেল গুলোতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনাসহ অনৈতিক কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন মহল।
Somajer Alo24
Leave a Reply