শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ভবিষ্যতের বাংলাদেশ হবে তারুণ্য নির্ভর; সীতাকুণ্ডে ছাত্রদলের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় লায়ন আসলাম চৌধুরী সাংবাদিক সোহাগ আরেফিন এর মান ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা; সিআরএ’র নিন্দা ও প্রতিবাদ কুড়িগ্রাম জেলার উন্নয়নে মানুষ আর মিথ্যে প্রতিশ্রুতি চায় না: সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি ইজারা বাতিল ও রাখাইনে করিডোর দানের ষড়যন্ত্র রুখতে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা; স্কপ চট্টগ্রামে বেওয়ারিশ বৃদ্ধাশ্রমে রান্না করা খাবার বিতরণ কাল চট্টগ্রামে পথশিশু ও ছিন্নমূল মানুষের সাথে ঈদের খুশি ভাগাভাগি করে নিতে ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠিত কুড়িগ্রামে ৭৮টি কোরবানির গরু নিয়ে দুঃস্থদের পাশে যাকাত ফাউন্ডেশন অব আমেরিকা চট্টগ্রামে বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৫ উপলক্ষে ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি নেতা আব্দুর রাজ্জাক চট্টগ্রামে সিডিএ’র প্লানিং ছাড়াই ব্যবসায়ীর জায়গা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ; প্রশাসন ও সিডিএ’র নিরবতা

আজ রাজপথে মুখোমুখি আ.লীগ-বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
  • Update Time : শনিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ২২৮ Time View

 

আড়াই মাস পর রাজধানী ঢাকায় ফের রাজপথে নামছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। দুই দলই আজ  কর্মসূচি পালন করবে। আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ এবং বিএনপি কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচির মাধ্যমে রাজধানীতে বড় শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন শেষে দু’দলের এই প্রথম কর্মসূচি ঘিরে সব মহলে সৃষ্টি হয়েছে কৌতূহল।

সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাকাসহ মহানগরগুলোতে কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চড়া দামের প্রতিবাদ এবং কারাবন্দি নেতাকর্মীর মুক্তি, সংসদ বাতিল ও সরকারের পদত্যাগ দাবিতে দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি। এই আন্দোলনের মাধ্যমে নেতাকর্মীর মনোবল চাঙ্গা করার উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার জেলা পর্যায়ে এবং আজ ঢাকাসহ মহানগর পর্যায়ে কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা। একই কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপির সমমনা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোট।

অন্যদিকে বিকেল ৩টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ব্যানারে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ হবে। রাজধানীতে বড় শোডাউন করার জন্য আওয়ামী লীগ মহানগরের থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট থেকে নেতাকর্মীকে সমবেত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। দলের সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীকেও সমাবেশে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। মহানগরীর সরকারদলীয় এমপি ও জনপ্রতিনিধিদেরও সমাবেশে সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শান্তি সমাবেশ ছাড়াও বিএনপির কালো পতাকা মিছিলকে ঘিরে যে কোনো ধরনের সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ঠেকাতে মহানগরের সর্বত্র সতর্ক অবস্থানে রাখা হবে নেতাকর্মীকে।

রাজপথের কর্মসূচি ঘিরে বিএনপিতে শুরু হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। ঢাকায় বড় জমায়েত ঘটাতে কাজ চলছে। কর্মসূচি সফল করতে এরই মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন নেতারা। প্রতিটি ইউনিট নেতাকর্মীকে পৃথকভাবে দেওয়া হয়েছে দিকনির্দেশনা। এই কর্মসূচি পালনে অনুমতি মিলেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি)। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, শনিবার দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে কালো পতাকা মিছিল করার বিষয় জানিয়ে প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছিলেন তারা। মৌখিকভাবে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার সমকালকে বলেন, বিএনপির যে কোনো কর্মসূচিতে ব্যাপক লোকসমাগম ঘটে। কোনো বাধাবিঘ্ন না থাকলে সাধারণ জনগণও অংশ নেন। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটবে না। তিনি বলেন, ‘পাতানো’, ‘ডামি’ আর ‘একতরফা’ নির্বাচনের পরও আওয়ামী লীগ আতঙ্কে আছে।

অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বলছেন, আন্দোলন ও নির্বাচন বানচালে ব্যর্থ বিএনপি এবং তার জোট এখনও সহিংসতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। এ জন্যই বিএনপি কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে। তবে কোনো সংঘাত-সহিংসতার আশঙ্কা সৃষ্টি হওয়া মাত্রই তা মোকাবিলায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি দলের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত থাকবেন। শান্তি সমাবেশ সফল করতে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর সংগঠন কার্যালয়ে বর্ধিত সভা করেছে।

এর আগে সর্বশেষ গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মসূচি ছিল। ওই দিন সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনসহ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির মহাসমাবেশের কর্মসূচির বিপরীতে আওয়ামী লীগ বিশাল শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করেছে। তবে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির ওই মহাসমাবেশ ঘিরে ব্যাপক নাশকতা, সন্ত্রাস ও জ্বালাও-পোড়াও হয়। প্রধান বিচারপতির বাসভবন এবং পুলিশ ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা হয়। হামলায় একজন পুলিশ কনস্টেবল নিহত হন। বিএনপির মহাসামবেশ পণ্ড হয়ে যায়।

এরপর থেকে কয়েক দফা হরতাল-অবরোধের ডাক দিলেও ব্যাপক ধরপাকড়, মামলা ও নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের মধ্যে বিএনপি আর মাঠে নামতে পারেনি। বিএনপি ও সমমনাদের বর্জনের মুখে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। ভোটের আগে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে মাসখানেক বিএনপি ও তার মিত্ররা লিফলেট বিতরণ করেছে। নির্বাচনের পর কিছুদিন বিএনপির লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি অব্যাহত রাখলেও পাল্টা কর্মসূচি নেয়নি সরকার সমর্থকরা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Advertise

Ads

Address

প্রধান কার্যালয় :৩৭৯/৩ কলেজ রোড (আমতলা) আশকোনা ঢাকা - ১২৩০ Email:somajeralonews24@gmail.com Contact  :01823634261 Office:01924751182(WhatsApp) Video editor :01749481920
© All rights reserved 2023

Somajer Alo24