ফরিদপুর জেলা ত্রাণ গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্যকেন্দ্র অফিসে মসজিদ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন উপাসনালয়ের জন্য বরাদ্দকৃত জি আর প্রকল্পের চাল ক্রয় বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে। আর এর মুলে রয়েছেন অফিসে কর্মরত পঙ্কজ বিশ্বাস।
অভিযোগকারী মোঃ মোকাদ্দেস মিয়া নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের জিয়া খুলী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জানিয়েছেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে পঙ্কজ স্বপ্রণোদিত হয়ে আমাকে এই চাল এর ব্যবসার পরামর্শ দেন। তিনি আমাকে ১০০ টন চাল দিবেন বলে জানান এবং এর বিনিময়ে তাকে ৩০ লক্ষ টাকা দিতে হবে বলে জানান। এত টাকা কেন দিতে হবে জিজ্ঞাসা করলে পঙ্কজ বলেন উর্ধ্বতন স্যারদের দিতে হবে, আমরাও নিবো। সে লক্ষে আমি এস পি অফিসের পিছনে ক্যাফে নিমন্ত্রণ এর বসে একসাথে ২০ লক্ষ টাকা দিই। এ সময় পঙ্কজ ৫০ হাজার টাকার একটি বান্ডেল গুণে নেন। মার্চের ৩০ তারিখে আমাকে ১০০ টন চাল দেওয়ার কথা থাকলেও আজও আমাকে ওই চাল দেয়নি। বার বার পঙ্কজকে চালের জন্য তাকিদ দিলে সে ঘুরাতে থাকে। এক পর্যায়ে আমি বলি আমার চাল লাগবে না, আমার টাকা ফেরৎ দেন। তখন পঙ্কজ বলে টাকাতো ডিসি স্যারকে দিয়ে দিছি। আপনি ডিসি স্যারের কাছে যান। তখন আমি ডিসি স্যারের কাছে যাওয়ার জন্য তৈরী হলে পঙ্কজ আমাকে বলে ডিসির কাছে যাওয়ার আগেই তুই গায়েব হয়ে যাবি। আমি বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে ধার দেনা করে পঙ্কজের হাতে ২০ লক্ষ টাকা তুলে দিছি। এখন পাওনাদাররা আমার কাছে টাকা চাচ্ছে। পঙ্কজের কাছে টাকা চাইলে এখন সে আমাকে হুমকি ধমকি দেয়। আমি বর্তমানে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।
তিনি জানান, আমার টাকা ফেরৎ পেতে এ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী খান বুলু এর মাধ্যমে আমি পঙ্কজ বিশ্বাসকে উকিল নোটিশ দিয়েছি। তিনি বার বার তারিখ দিয়েও সমাধান করেননি। পরে একদিন উকিল সাহেবের চেম্বারে ৪/৫ জন মস্তান নিয়ে আসে। পঙ্কজ বিষয়টি সমাধান করবে বলে সেখান থেকে চলে যান। কিন্তু এখনো কোন সমাধান করেননি।
অভিযুক্ত পঙ্কজ বিশ্বাস বলেন, এখন বরাদ্দ নাই। বরাদ্দ আসলে তার আবেদন অনুযায়ী তিনি চাল পাবেন।
এ বিষয়ে এ্যাডভোকেট লিয়াকত আলী খান বুলু সাংবাদিকদের জানান, আমি নোটিশ করার পর উভয় পক্ষ আমার অফিসে আসে। পঙ্কজ কিছু লোকজন নিয়ে আসে। তারা বিষয়টি মিমাংসা করবে বলে জানান।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সৈয়দ আরিফুল হক এর মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, মোকাদ্দেস সাহেবের কিছু আবেদন জমা আছে। এখন বরাদ্দ নেই। বরাদ্দ এলে সংশ্লিষ্ট ইউএনও সাহেবের সাথে কথা বলে তার বরাদ্দ দেওয়া হবে। টাকা লেন দেন এর বিষয়ে বা ১০০ টন চাল দেওয়া হবে এসব বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।
জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান মোল্লা অসুস্থ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Somajer Alo24