ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের তালকান্দা খালের ওপর নির্মিত কোটি টাকার সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
এ অনিয়ম দেখে স্থানীয়রা বাধা দিলে তাদের অভিযোগ আমলে না নিয়ে তাদের নিয়মেই কাজ করে যাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। কাজ দেখভালের দায়িত্বে থাকা হাবিব বলেন, নিয়মমতই কাজ হচ্ছে। এরা অযথাই ঝামেলা করতেছে।
উপজেলা প্রকৌশলী অফিস ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ৪০ মিটার লম্বা ব্রিজটি ৪৯ কোটি ৯ লক্ষ ২৫ হাজার টাকায় নিশাত – সালেহ নামের যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সংযোগ সড়কসহ কাজটি বাস্তবায়ন করছে। কাজটি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো তা শেষ হয়নি। সংযোগ সড়ক ছাড়াও ব্রিজেরও বেশ কেছু কাজ অসমাপ্ত রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নিয়মিত কাজ করলে কাজ প্রায় শেষ হয়ে যেতো। দীর্ঘদিন কাজ না করে ফেলে রাখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে কাজ শুরু হলেও তা ধীরগতিতে করার কারণে ওই এলাকার মানুষের দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। কিছু দিন আগে সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ শুরু করলে সেখানে খোয়া ও বালু সমপরিমান দেওয়ার কথা থাকলেও বলাুর পরিমান বেশি দিয়ে সংযোগ সড়কের কাজ শুরু করে। আমরা অভিযোগ জানাইছি। আমাদের দাবী যাতে ভালোভাবে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়।
স্থানীয় লিয়াকত হোসেন জানান, নিম্ন মানের ইটের খোয়া দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে ঠিকাদার। সংযোগ সড়কের স্থানটিতে গভীর খাদ ছিলো। বালু ভরাট করে কাজ করছে কিন্তু বালুতে পর্যাপ্ত রোলার ব্যবহার করা হয়নি। তাছাড়াও বালুর উপর যে খোয়া ও বালুর মিশ্রন দেওয়া হয়েছে তাতে খোয়ার চেয়ে বালুর পরিমান বেশী। এভাবে নির্মান করা হলে অল্প সময়েই এই সংযোগ সড়কটি ভেঙে যাবে। আমরা এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে কথা কানে নেয় না। বরং ঠিকদারের নিয়োজিত হাবিব আমাদের বাচ্চাদের প্রায়ই মারধোর করে। এ কাজের যে মুল ঠিকাদার তিনি আজ পর্যন্ত এখানে আসেননি। শুনছি ঠিকাদার ফরিদপুরের বরকত – রুবেলের লোক। তাদের ক্ষমতার সময় যেভাবে কাজ করতো এখনো তারা সেভাবে কাজ করার চেষ্টা করতেছে। তাদের কিছু বলার সাহস পায়না কেউ।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী রেজাউল করিম এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে কল রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মাদ মালিক নাজমুল হোসেন জানান, আলগী ইউনিয়নের পীরেরচর তালকান্দা খালের ওপর নির্মিত সেতুর সংযোগ সড়কের কাজের মান নিয়ে স্থানীয়রা আমাকে অভিযোগ জানিয়েছেন। আমরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। ঠিকাদারকে বলেছি কাজ নিয়মমত না করলে কোন বিল পাবেননা। আমি কাজ পরিদর্শন করবো। প্রয়োজনে বালু খোয়ার সংমিশ্রণ উঠিয়ে নতুন করে কাজ করতে হবে। তা না করলে তিনি ঠিকাদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানিয়েছেন।
Somajer Alo24