ছাত্রদের কোটা আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান ও নতুন সরকারের গঠন। এই কয়েক মাস দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে স্টেজ শো আয়োজন হয়নি বললেই চলে। শিল্পী-মিউজিশিয়ানরা প্রত্যাশা করেছিলেন নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর সবকিছু স্বাভাবিক হবে। আবার ব্যস্ত হয়ে পড়বেন সংগীত সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হলো সেটা আর হয়নি। বরঞ্চ দীর্ঘ সময় স্টেজ শো কিংবা কনসার্ট থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিল্পী-মিউজিশিয়ানরা। দেশের বেশির ভাগ শিল্পী নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করেন স্টেজ শো নিয়ে। কারণ এই সময়টাকে কনসার্টের মৌসুম বলা হয়। কিন্তু এবার অবস্থা ব্যতিক্রম। সালমা, লিজা, পুলক, রাজীব, প্রতীক হাসান, পূজা, ঝিলিক, কনা, আঁখি আলমগীর, লায়লা, কর্নিয়া, কাজী শুভ, বেলাল খান, নোলক, দোলা, তোসিবাসহ অন্য অনেক শিল্পী এ সময় মাসের বেশির ভাগ সময় স্টেজ শো করে কাটান। কিন্তু দেশের বিভিন্ন স্থানে শো-ই তেমন আয়োজন হচ্ছে না এখন। বিশেষ করে ঢাকার বাইরে নিরাপত্তাজনিত কারণে শো আয়োজন
হচ্ছে না। অথচ শিল্পী-মিউজিশিয়ানদের আয়ের প্রধান উৎস হলো এই স্টেজ। শো আয়োজন না থাকায় গান রেকর্ডিং কিংবা টিভি শুটিংয়ে নিজেদের ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করছেন শিল্পীরা। তবে সেদিক থেকে মিউজিশিয়ানদের অবস্থা আরও খারাপ। কারণ স্টেজই মিউজিশিয়ানদের আয়ের একমাত্র পথ। বিষয়টি নিয়ে শিল্পী মিউজিশিয়ানদের মধ্যেও এক ধরনের চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে কণ্ঠশিল্পী সালমা অভিমানের সুরে বলেন, আমরা তো শিল্পী। আমাদের কাজ হচ্ছে গান গাওয়া। আর স্টেজ শো হলো অমাাদের আয়ের অন্যতম পথ। আসলে আমরা শিল্পীরা হাজার কষ্ট হলেও কাউকে বলবো না। আমাদের জীবন সংগ্রামে, মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আবার নিচু করবো কীভাবে? দিন যত যায় সময় কঠিন হচ্ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে শিল্পী-মিউজিশিয়ানরা আরও বেহাল অবস্থায় পড়বে। স্টেজের ব্যস্ত আরেক শিল্পী ঝিলিক বলেন, স্টেজ শো আয়োজন খুব কম হচ্ছে। এ সময়টায় এমন হওয়ার কথা নয়। তবে এই স্থবির অবস্থার যেন অবসান হয় সেটাই আমাদের সবার চাওয়া।
Somajer Alo24
Leave a Reply