লিয়াকত হসেন,ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আনন্দ শোভাযাত্রা, শপথ বাক্য পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১০টার দিকে শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে থেকে এ আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়।
মিছিলটি ভাঙ্গা রাস্তার মোড় থেকে শুরু হয়ে হাজরাতলার মোড়, গোরস্থানের মোড়, আলীপুরের মোড়, সুপার মার্কেটের মোড়, জেনারেল হাসপাতালের মোড়, ব্রহ্মসমাজ সড়ক, ফরিদ শাহ সড়ক হয়ে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক শাহ মো. আরাফাত, জনি বিশ্বাস। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন এ আন্দোলনে শুরু থেকে জড়িত আবরার নাইম ইতু, মারুফা মিম, আলিফ বিন সাদিক প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশ আবারও স্বাধীন হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। আর তাই এই অর্জিত স্বাধীনতা কোনোভাবেই নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
বক্তারা বলেন, এ আন্দোলন করেছে দেশের ছাত্র সমাজ। তাই এ বিজয় কোনো রাজনৈতিক দলের দাবি করার সুযোগ নেই।
তারা বলেন, এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ওই সময় তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আমাদের ওপর অত্যাচার করেছে। নেতাকর্মীদের আহত করেছে একের পর এক মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে। আমাদের ৫৯ জন আন্দোলনকারীকে কারাগারে যেতে হয়েছে।
বক্তারা বলেন, নিযাতন, নিপিড়ন, মামলা, জেল জুলমে আমরা বিচলিত হইনি। আমরা যে ফলাফল পেয়েছি তা নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বিশ্ব আজ বাংলাদেশকে মূল্যায়ন করতে শিখেছে।
তারা বলেন, গত ১৬ জুলাই এই কলেজে থেকেই আন্দোলনের সূচনা করা হয়েছিল। এতে আমাদের অসংখ্য ভাই বোন অংশগ্রহণ করেছিল। তারা তখন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছিল, আহত হয়েছিল।
এসময় তারা রাজেন্দ্র কলেজের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য এই কলেজটিকে রাজনীতিমুক্ত করার ঘোষণা দেন। তারা বলেন, এখন থেকে কোনো ছাত্র সংগঠন এই কলেজে আর রাজনীতি করতে পারবে না।
শিক্ষার্থীরা বলেন, কলেজ ক্যাম্পাসকে নিরাপদ রাখতে হবে, যাতে আর কোনো অশুভ শক্তি দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে। রাষ্ট্রের ক্ষতি হয় এমন কোনো কর্মকাণ্ড করা হবে না। এছাড়া চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তারা।
অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় পর্বে শপথ বাক্য পাঠ করেন শিক্ষার্থী মেহেরুন নিসা। অনুষ্ঠানের শেষে আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি তানভীর আহমেদ।
Somajer Alo24
Leave a Reply