নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিভিন্ন উপজেলায় একের পর এক টিনসেড স্কুল ঘর নির্মাণ করে শিক্ষক নিয়োগের নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে নুরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। নূরুল ইসলাম ফুলবাড়িয়া উপজেলার কাহালগাঁও এলাকার মৃত মোক্তার আলীর পুত্র। চাকুরী না হওয়া ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা উদ্ধারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে এবং প্রতারণার অভিযোগে নূরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘাটাইল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মোঃ হেকমত আলী (৫৫)। হেকমত আলী ঘাটাইল উপজেলার সাগরদীঘি ইউপির ফুলমালিরচালা (বড়চালা) এলাকার মৃত ছাবেদ আলীর পুত্র।
অভিযোগসূত্রে জানাযায়, বিবাদী নুরুল ইসলাম হেকমত আলীর নিকট আত্মীয়। সেই সুবাদে নুরুল ইসলামের সাথে চেনাজানা ও সুসম্পর্ক গড়ে উঠে হেকমত আলীর। বিবাদী বিভিন্ন স্কুল তৈরী করে সেই স্কুলে চাকুরী দেওয়ার যথেষ্ট সুযোগ আছে বলে জানান। একপর্যায়ে বিগত অনুমান ০৩ বৎসর পূর্বে নুরুল ইসলাম ইছার চালা এলাকায় একটি ঘর তৈরী করে। সেই ঘরে প্রাইমারী স্কুল খোলে, উক্ত স্কুলে হেকমত আলীর পুত্রবধূ মোছাঃ তাসলিমা আক্তারকে চাকুরী দিবে মর্মে ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা নেয়। টাকা নেওয়ার সময় তার পুত্র হাসানের নিকট থেকে একটি কাগজে স্বাক্ষরও নেয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও হেকমত আলীর পুত্রবধুকে চাকুরী দিতে না পারায়, হেকমত আলী বাদী হয়ে ঘাটাইল থানায় একটি অভিযোগটি দায়ের করেন।
নূরুল ইসলাম নিজেকে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদের সাথে সুসম্পর্ক রয়েছে বলে প্রচার করে এসব প্রতারণা করে আসছেন বলে ভুক্তভোগী পরিবার জানান।
নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্যমতে, নুরুল ইসলাম ফুলবাড়িয়া, ভালুকা ও ঘাটাইলের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৬-৭টি টিনসেড স্কুল নির্মাণ করেন এবং প্রতারণার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের নামে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতারণার এসব অর্থ দিয়ে ঘাটাইলের সাগরদীঘি এলাকায় কোটি টাকার জমি ক্রয় করেছেন বলে জানাগেছে। এছাড়াও জমি ক্রয় করে দেওয়ার নামে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ রয়েছে নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। নুরুল ইসলাম নিজেকে সিলেট বিরানী বাজার দুবাগ স্কুল এন্ড কলেজ প্রভাষক হিসাবে চাকুরী করেন এবং বিবাদীর সাথে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে সুসম্পর্ক আছে বলে বিভিন্ন লোক সমাজে পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছেন।
স্থানীয়রা জানান, নুরুল ইসলাম সবসময় নিজেকে সিলেটের একটি কলেজের প্রভাষক পরিচয় দেন। কিন্তু সে বিগত ৪-৫ বছর যাবত নিজ এলাকা কাহালগাঁও এ অবস্থান করছেন। এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন নূরুল ইসলাম বাড়িতেই আছে, সরকারি চাকুরী করলে কি বাড়িতে থেকেই চাকুরী করা যায়? তবে এর কোন সদুত্তর মেলেনি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে হেকমত আলী বলেন, আমার পরিবারের সাথে প্রতারণা করেছে প্রভাষক পরিচয়দানকারী নূরুল ইসলাম। আমি উক্ত টাকা উদ্ধারসহ নূরুল ইসলামের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত নূরুল ইসলামের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দেলোয়ার হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Somajer Alo24
Leave a Reply