শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১২:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ভবিষ্যতের বাংলাদেশ হবে তারুণ্য নির্ভর; সীতাকুণ্ডে ছাত্রদলের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় লায়ন আসলাম চৌধুরী সাংবাদিক সোহাগ আরেফিন এর মান ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা; সিআরএ’র নিন্দা ও প্রতিবাদ কুড়িগ্রাম জেলার উন্নয়নে মানুষ আর মিথ্যে প্রতিশ্রুতি চায় না: সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি ইজারা বাতিল ও রাখাইনে করিডোর দানের ষড়যন্ত্র রুখতে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা; স্কপ চট্টগ্রামে বেওয়ারিশ বৃদ্ধাশ্রমে রান্না করা খাবার বিতরণ কাল চট্টগ্রামে পথশিশু ও ছিন্নমূল মানুষের সাথে ঈদের খুশি ভাগাভাগি করে নিতে ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠিত কুড়িগ্রামে ৭৮টি কোরবানির গরু নিয়ে দুঃস্থদের পাশে যাকাত ফাউন্ডেশন অব আমেরিকা চট্টগ্রামে বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৫ উপলক্ষে ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি নেতা আব্দুর রাজ্জাক চট্টগ্রামে সিডিএ’র প্লানিং ছাড়াই ব্যবসায়ীর জায়গা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ; প্রশাসন ও সিডিএ’র নিরবতা

সালথায় অনিয়মের প্রতিবাদ করাই যেন গলার কাটা হয়ে দাড়ালো এইচএসসি পরীক্ষার্থীর

লিয়াকত হোসেনঃ
  • Update Time : বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪
  • ১৮১ Time View

লিয়াকত হোসেন,ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের সালথার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সালথা সরকারি কলেজ। এ সরকারি কলেজটি ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০১৮ সালে সরকারিকরণ করা হয়।

কলেজটির অধ্যক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন প্রফেসর কৃষ্ণ চন্দ্র বর্মন। এই কলেজটির অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা সময় অনিয়মের অভিযোগ উঠলে স্থানীয় সাংবাদিকরা তা তুলে ধরেন।
আর এরকম একটি অনিয়মের সংবাদ স্থানীয় এক সাংবাদিক ফেসবুক শেয়ার করেন। আর সেই সংবাদে অধ্যক্ষের অনিয়মের প্রতিবাদ করে ফেসবুকে কমেন্ট করে কপাল পুড়েছে হুসাইন মাতুব্বর নামে এইচএসসির এক পরীক্ষার্থীর। ওই পরীক্ষার্থী কলেজটির মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী এবং উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের বাতা গ্রামের মৃত জাফর মাতুব্বরের ছেলে বলে জানা গেছে।

ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগ, গত বছর অধ্যক্ষ কৃষ্ণ চন্দ্র বর্মনের অনিয়ম নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশ করেন। যা ২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর ‘সালথায় দুই কলেজে ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে অর্থ আদায় ও খাতা বাণিজ্যের অভিযোগ’ শিরোনামে বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তাতে অধ্যক্ষ কৃষ্ণ চন্দ্র বর্মনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়। সংবাদটি স্থানীয় নুরুল ইসলাম নাহিদ নামে এক সাংবাদিক তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেন। তাতে শিক্ষার্থী হুসাইন কমেন্ট করে এবং অনিয়মের বিষয়ে আরও তথ্য তুলে ধরে।

তার কমেন্টের অংশ স্ক্রিন শর্ট দিয়ে রাখেন অধ্যক্ষ কৃষ্ণ চন্দ্র বর্মন। পরদিন ওই শিক্ষার্থী কলেজে গেলে তার মোবাইলফোন জব্দ করেন অধ্যক্ষ এবং এ ধরনের কমেন্ট কেন করেছে বলে শাসাতে থাকেন। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা কলেজে গেলে তাদের সঙ্গেও কথা কাটাকাটিতে জড়ান অধ্যক্ষ। এর কয়েকদিন পর মোবাইলফোনটি ফেরত দেন অধ্যক্ষ।

এরই জের ধরে আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষা থেকে শিক্ষার্থী হুসাইন মাতুব্বরকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আর এ অভিযোগ হুসাইনের।
হুসাইন মাতুব্বর অভিযোগ করে বলেন, ‘অধ্যক্ষ স্যারের অনিয়মের সংবাদে আমি না বুঝেই ফেসবুকে কমেন্ট করেছিলাম। সেই কমেন্টই আমার গলার কাঁটা হয়ে গেল। আমাকে এইচএসসি পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। বার বার অধ্যক্ষ স্যারের কাছে আকুতি-মিনতি করলেও কোনো কথায়ই শুনছেন না তিনি। ’

এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘এইচএসসি পরীক্ষার টেস্ট (মূল্যায়ন) পরীক্ষায় আমি ভালো লিখেছি। কিন্তু আমাকে একাধিক বিষয়ে ফেল দেখানো হয়েছে। পরে অধ্যক্ষ স্যারের কাছে গেলে আমাকে আবেদন করে পুনরায় পরীক্ষা দিতে বলেন। আমি স্যারের কথামতো আবেদন নিয়ে গেলে তা গ্রহণ করেন না। পরে আবার আবেদন দিতে বলেন। পুনরায় আবেদন করলে অধ্যক্ষ স্যার বলেন আবেদনে মারজিন (দাগ) টানা হয়নি। এরপর থেকে তার কাছে আর যেতে দেন না অধ্যক্ষ। ’

হুসাইন বলেন, ‘পরীক্ষার্থীর তালিকা থেকে অনেককেই বাদ দেওয়া হয়েছিল, পরে তাদের অনেককেই অধ্যক্ষ স্যার নিয়েছেন। তাহলে আমার অপরাধ কী, একটা কমেন্ট করেই মহা অপরাধ করে ফেলেছি? আমি প্রশাসনের মাধ্যমে সমাধান করে পরীক্ষায় অংশ নিতে চাই। ’

ওই শিক্ষার্থীর বড় ভাই শ্রাবণ হাসান বলেন, বিষয়টি নিয়ে প্রথমদিকে আমি অধ্যক্ষের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাকে বলেন, আমরা সার্বিক দিক বিবেচনা করে বাদ দিয়েছি। এরপর কয়েকদিন আগে অধ্যক্ষ জানান, হুসাইন একাধিক বিষয়ে ফেল করেছে, নেওয়া যাবে না। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া কয়েকজন শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাদের কোন বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে -এটা বোধগম্য হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে অভিযোগ অস্বীকার করে অধ্যক্ষ কৃষ্ণ চন্দ্র বর্মন বলেন, হুসাইনের সঙ্গে অতীতে কী হয়েছিল তা আমার মনে নেই। এমন কোনো ঘটনার কারণে তাকে পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে না দেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।

তিনি বলেন, ওই ছাত্রের বিগত রেজাল্ট ভালো না। সে প্রথম বর্ষে, প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষায় এবং নির্বাচনী পরীক্ষায় খারাপ করেছে। এছাড়া আমরা অভিভাবকদের নিয়ে বসেছিলাম। সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও (ইউএনও) ছিলেন। সবাই একমত হন যে, যারা রেজাল্ট খারাপ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কলেজ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটিই সঠিক।

তিনি জানান, এবার এই কলেজ থেকে ২৪৩ জন নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ১২২ জনের মতো টিকছে।

বিষয়টি নিয়ে সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আনিচুর রহমান বালী বলেন, বিষয়টি নিয়ে অধ্যক্ষকে ফোন দিয়েছিলাম। অধ্যক্ষ জানিয়েছেন, ওই ছেলে পাঁচ-ছয়টি বিষয়ে ফেল করেছে। এখন যদি ওই ছেলে মনে করে, তার প্রতি অবিচার করা হয়েছে, তাহলে সে কলেজে পুনর্মূল্যায়নের জন্য আবেদন করতে পারে। আর যদি সে বিষয়ে অধ্যক্ষ ব্যবস্থা না নিয়ে থাকলে ওই ছাত্র উপজেলা প্রশাসন বা জেলা প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ফরিদপুরের জেলা শিক্ষা অফিসার বিষ্ণু পদ ঘোষাল ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা কল রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Advertise

Ads

Address

প্রধান কার্যালয় :৩৭৯/৩ কলেজ রোড (আমতলা) আশকোনা ঢাকা - ১২৩০ Email:somajeralonews24@gmail.com Contact  :01823634261 Office:01924751182(WhatsApp) Video editor :01749481920
© All rights reserved 2023

Somajer Alo24