ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের মুকসুদপুর উপজেলার ডোমরা কান্দি এলাকায় গতকাল সকাল ১০টার দিকে দুরপাল্লার যাত্রীবাহী গ্লোবাল পরিবহনের সাথে অপর একটি মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে আপন তিন বোনসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
খবর পেয়ে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রাখা হয় বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার এসআই নোমান।
নিহতরা হলেন, মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার গোপালপুর গ্রামের কাজী আবদুল হামিদের তিন মেয়ে কাজী সালমা আক্তার (৫৮), আছমা বেগম (৫৬), কাজী নাছিমা বেগম (৬২) ও তার ছেলে হুমায়ুন কাজীর স্ত্রী কোমল বেগম (৭৫) এবং মাইক্রোবাসের চালক আলমগীর (৫০) ।
নিহতের স্বজন মুন্সী মুকিবুজ্জামান জানান, ঢাকা থেকে সকালে নিজ গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার সময়ে পথিমধ্যে যাত্রীবাহী একটি বাসের সাথে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসের সাথে সংঘর্ষ হলে ঘটনা স্থলে পাঁচজন নিহত হন।
মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম ও ভাঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) নোমান জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার রাঘদী ইউনিয়নের ডোমড়াকান্দি নামক স্থানে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে ঢাকাগামী গ্লোবাল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস মাদারীপুরগামী একটি যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসকে চাপা দিলে মাইক্রোবাসের সম্মুখভাগ দুমড়েমুচড়ে যায়।
এতে মাইক্রোবাসের চালক ও চারজন নারী যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এসময় কাজী আবদুল হামিদ ছেলে হুমায়ুন কাজী, মেয়ে নাজমা বেগম ও খায়রুল আলম কাজী গুরুতর আহত হন। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা হতাহতদের উদ্ধার করে । আহত তিনজনকে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরও জানান, নিহতদের মরদেহ গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. জোবায়ের হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, নিহতদের জন্য পরিবার প্রতি ২৫ হাজার টাকা অনুদান এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
Somajer Alo24
Leave a Reply