ভালুকার কৈয়াদী সোনাউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ এর কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর আসলাম ওরফে জুয়েলের বিরুদ্ধে ইয়াবা সেবন ও বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। জুয়েল কৈয়াদী এলাকার সাবেক সেনা সদস্য আঃ হালিম এর পুত্র।
অনুসন্ধানে জানাযায়, জুয়েল কিছু দিন পূর্বে কৈয়াদী সোনাউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর হিসেবে যোগদান করেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং সভাপতিকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ নেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায় । চাকুরী পেলেও অধিক মুনাফার লোভে মাদক সেবন ও ব্যবসা চালিয়ে আসছেন এই জুয়েল। জুয়েল কৈয়াদী সোনাউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নির্ভিগ্নে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্হানীয় এক ব্যাক্তি বলেন, আসলাম মাদক সেবন ও ব্যবসার অভিযোগে ভালুকা থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতারও করেছিলেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে পাওয়া তথ্যমতে, আসলাম ওরফে জুয়েল অত্র অঞ্চলের মাদক সম্রাট হিসেবে পরিচিত লাভ করেছেন। একাধিক মাদক সেবনকারী জানান, জুয়েল দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক সেবন ও ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত। কৈয়াদী এলাকায় একক মাদক সম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন এই আসলাম ওরফে জুয়েল। বাবা সাবেক সেনা সদস্য হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করার সাহস পায়না।
এই ব্যাপারে অভিযুক্ত আসলামের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে বিষয়টি আপনি জানতে চেয়েছেন তা মোবাইলে বলা সম্ভব নয়। একদিন আসেন সাক্ষাৎ এ কথা বলি।
ইউপি সদস্য স্বপনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে মাদক সেবন ও ব্যবসা করতো জানতাম। বেশ কিছুদিন পূর্বে মাদক সেবন ও ব্যবসার অভিযোগে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিলেন। তবে এখন সে মাদক সেবন বা বিক্রি করে কিনা আমার জানা নেই।
কৈয়াদী সোনাউল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বলেন, আসলামকে গত মাসে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।তিনি মাদকের সাথে সম্পৃক্ত কিনা আমার জানা নেই। আর নিয়োগে কোন প্রকার বানিজ্য হয়নি।
উল্লেখ্য, একজন শিক্ষক মাদক সেবন ও ব্যবসার সাথে জড়িত হলে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে এটা সহজেই অনুমেয়। একজন ছাত্রকে আগামী দিনের ভবিষ্যৎ ভাবা হয়। আর একজন শিক্ষক যদি মাদক বিক্রি করে তাহলে সেই ভবিষ্যৎ হয়ে যাবে অন্ধকারাচ্ছন্ন। অন্ধকার ভবিষ্যৎ থেকে আমাদের সন্তানদের আলোর পথে ফেরাতে হলে এসব মাদক কারবারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকাবাসী।
Somajer Alo24
Leave a Reply