অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে কক্সবাজারে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত অপরিবর্তিত রেখেছে আবহাওয়া অফিস। রোববার (১৪ মে) সকাল থেকে আগের চেয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে দমকা হাওয়া বাড়তে শুরু করেছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করছে। আজ সকাল পৌনে ১১টায় সেন্টমার্টিনের পশ্চিম পাশের গ্রাম ও বাড়িঘরগুলোতে বাতাসের ধাক্কা লাগছে বলে জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আগের চেয়ে বাতাস একটু বেড়ে গেছে। ভোররাত থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হলেও এখন একটু বৃষ্টি কমেছে। তবে মাঝে মাঝে বাতাসের ধাক্কা রয়েছে। এছাড়াও জোয়ারের পানিও বেড়ে সাগর উত্তাল রয়েছে।’
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান বলেন, ‘সেন্টমার্টিনে ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগের প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেখানে বর্তমানে বাতাসের গতিবেগ ৬০ থেকে ৬৫ কিলোমিটার। রোববার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। দ্বীপবাসীকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে বলা হয়েছে।’
দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দা জসিম মাহমুদ বলেন, ‘রাত থেকে বৃষ্টি ছিল, তবে বাতাসের গতি তখন কম থাকলেও রোববার সকাল থেকে বাতাসের বেগ বেড়েছে। দ্বীপের লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। আর এখানে বিভিন্ন বাহিনী জনসচেতনতায় কাজ করছে। সেন্টমার্টিনের সরকারিসহ ৩৭টি স্থাপনাকে আশ্রয়ণকেন্দ্র ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখা তুলনামূলকভাবে সেন্টমার্টিনের আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে। নেভি, কোস্টগার্ড, পুলিশসহ সেন্টমার্টিনে ৩৭টি সরকারি স্থাপনা রয়েছে। তাই সেখানে সরকারি স্থাপনাগুলো সাইক্লোন শেল্টার হিসেবে ব্যবহারের জন্য বলা হয়েছে।’
Somajer Alo24
Leave a Reply