শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ০২:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ভবিষ্যতের বাংলাদেশ হবে তারুণ্য নির্ভর; সীতাকুণ্ডে ছাত্রদলের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় লায়ন আসলাম চৌধুরী সাংবাদিক সোহাগ আরেফিন এর মান ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা; সিআরএ’র নিন্দা ও প্রতিবাদ কুড়িগ্রাম জেলার উন্নয়নে মানুষ আর মিথ্যে প্রতিশ্রুতি চায় না: সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি ইজারা বাতিল ও রাখাইনে করিডোর দানের ষড়যন্ত্র রুখতে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা; স্কপ চট্টগ্রামে বেওয়ারিশ বৃদ্ধাশ্রমে রান্না করা খাবার বিতরণ কাল চট্টগ্রামে পথশিশু ও ছিন্নমূল মানুষের সাথে ঈদের খুশি ভাগাভাগি করে নিতে ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠিত কুড়িগ্রামে ৭৮টি কোরবানির গরু নিয়ে দুঃস্থদের পাশে যাকাত ফাউন্ডেশন অব আমেরিকা চট্টগ্রামে বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৫ উপলক্ষে ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি নেতা আব্দুর রাজ্জাক চট্টগ্রামে সিডিএ’র প্লানিং ছাড়াই ব্যবসায়ীর জায়গা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ; প্রশাসন ও সিডিএ’র নিরবতা

আমদানির ঘোষণাতেই পেঁয়াজের দরপতন

অনলাইন  ডেস্ক:
  • Update Time : রবিবার, ২১ মে, ২০২৩
  • ৪৪১ Time View

বাণিজ্যমন্ত্রী আমদানির ঘোষণা দেয়ায় পেঁয়াজের দরপতন শুরু হয়েছে। একদিনের ব্যবধানে উত্তরের জেলা পাবনায় প্রতি মণ পেঁয়াজের দাম কমেছে ৫০০ টাকা। গত শুক্রবার (১৯ মে) প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে দুই হাজার ৯০০ টাকা দরে। পরদিন শনিবার (২০ মে) সেই পেঁয়াজ প্রতি মণ বিক্রি হয় দুই হাজার ৪০০ টাকা দরে। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত দুই সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। দাম বেশি হওয়ায় অতি মুনাফার স্বপ্ন দেখছিলেন চাষিরা। কিন্তু তাদের সেই আশায় জল ঢেলেছে বাণিজ্যমন্ত্রীর পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণা।

শনিবার (২০ মে) পাবনার বনগ্রাম হাটে চাষি ও পাইকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাটে প্রচুর পেঁয়াজ। তবে বাজারে সরবরাহের তুলনায় চাহিদা কম। ব্যাপারিরা বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। শুক্রবার পাবনার চিনাখড়া হাটে যে পেঁয়াজ ২ হাজার ৭০০ টাকা মণ বিক্রি হয়েছে; সেই মানের পেঁয়াজ শনিবার বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ২০০ টাকায়। হাটে আসা অনেক চাষি বলছেন, এক রাতের ব্যবধানে দাম ৫০০ টাকা কমবে, তারা ভাবতে পারেননি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছর মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ভালো পেঁয়াজের দাম ছিল ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা মণ। দ্বিতীয় সপ্তাহে এসে দাম কমে হয় ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা।

চাষিদের দেয়া তথ্য মতে, গত বছর মণপ্রতি তাদের খরচ ছিল এক হাজার টাকার বেশি। তার ওপর পেঁয়াজ ঘরে রাখলে ওজনে কমে যায়, পচে যায়। তাই তারা গত বছর লাভবান হতে পারেননি। তারা বলছেন, এবছর দাম বেশি হলেও ফলন হয়েছে গত বছরের কম। সে হিসাবে তাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। মৌসুমের কিছুদিন পর এসে দাম বাড়ায় তারা অধিক লাভের আশা করছিলেন। কিন্তু বাণিজ্যমন্ত্রীর আমদানির ঘোষণা তাদের আশা ভেস্তে গেছে। সাঁথিয়া উপজেলার বামনডাঙ্গা গ্রামের চাষি সাগর হোসেন বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুশি শুক্রবার সকালে সাংবাদিকদের বলেন, পেঁয়াজের দাম দু-একদিনের মধ্যে না কমলে আমদানি করা হবে। তার এক ঘোষণাতেই পেঁয়াজের দামের বারোটা বেজে গেছে। চাষিরা দু-একটি ফসলে লাভবান না হলে টিকে থাকবে কীভাবে, মন্ত্রী তা ভাবেননি বলেও অভিযোগ করেন ওই কৃষক।

পাবনা সদর উপজেলার শুকচর গ্রামের শুকুর আলী বলেন, শুক্রবার পেঁয়াজের মণ ছিল ২ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ৯০০ টাকা মণ। একদিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমে হয়েছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকা। বাজার কমে যাওয়ায় পেঁয়াজ ফেরত নিয়ে যাচ্ছি। এই দামে বেচলে আমাদের পোষাবে না। তিনি আরও বলেন, সরকার যদি পেঁয়াজ আমদানি করে তাহলে আমাদের বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াই ভালো।

বনগ্রাম হাটে আসা আরেক চাষি মজিবর প্রামাণিক বলেন, হাটে পেঁয়াজ এনে শুনি দাম মণপ্রতি ৫০০ টাকা কমে গেছে। পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ায় গাড়ি থেকে পেঁয়াজ নামাচ্ছি না। সরকার যদি আমদানি করে তাহলে সরকারই ব্যবসা করুক। আমরা পেঁয়াজ লাগাব না। কারণ পেঁয়াজ আমাদের জাত ব্যবসা। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে তো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারবে না।

পেঁয়াজের ব্যাপারি রায়হান উদ্দিন চিনাখড়া, বনগ্রাম, পুষ্পপাড়া, হাজিরহাট, আতাইকুলাসহ বিভিন্ন হাট থেকে পেঁয়াজ কিনে জয়পুরহাট এবং ঢাকায় পেঁয়াজ সরবরাহ করেন। তিনি জানান, একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। শনিবার তিনি কিনেছেন ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা দরে। আগের দিন কিনেছেন ২ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার ৮০০ টাকা দরে। আমদানির ঘোষণার পর থেকেই দাম কমতে শুরু করেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাবনার উপ-পরিচালক জামাল উদ্দিন বলেন, চাষির পেঁয়াজ উৎপাদন খরচ পড়ে প্রতি কেজিতে ৩৫-৪০ টাকার ওপর। কিন্তু মৌসুমে চাষিরা ২০-২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। এতে তারা নিশ্চিতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন।

এই কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, তখন ওই দরে বিক্রি না করে উপায় থাকে না। কারণ তারা দেনার ভারে জর্জরিত থাকেন। এবছর যে দাম উঠেছে তাতে চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। সরকার আমদানি করে দামটা ভারসাম্যপূর্ণ রাখার চেষ্টা করছে। যাতে ক্রেতা-ভোক্তা উভয়েই ভালো থাকেন। এতে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে মনে করেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Advertise

Ads

Address

প্রধান কার্যালয় :৩৭৯/৩ কলেজ রোড (আমতলা) আশকোনা ঢাকা - ১২৩০ Email:somajeralonews24@gmail.com Contact  :01823634261 Office:01924751182(WhatsApp) Video editor :01749481920
© All rights reserved 2023

Somajer Alo24