ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নে বিকাশ প্রতারক চক্রের দুই সদস্য পুলিশের কাছে ধরা পড়ে ভুক্তভোগীর টাকা ফেরত দিয়েছেন। তারা হলেন উপজেলার সহস্রাইল বাজারের অনলাইন ব্যাংকিং এজেন্ট ও সহস্রাইল গ্রামের রংধনু টেলিকমের স্বত্বাধিকারী কিবরিয়া মোল্যা এবং একই ইউনিয়নের বাড়ইকান্দী গ্রামের পঙ্কজ বাড়ই। তাদের আটকের পর সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় ছেড়ে দেয় পুলিশ।
খুলনার খান জাহান আলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইশতিয়াক আহম্মেদ জানান, গত ১ সেপ্টেম্বর খুলনার শিরোমনি হাফেজিয়া মাদরাসার শিক্ষক মফিজুল ইসলাম মিস্ত্রিকে ফোন করেন এক ব্যক্তি। তিনি নিজেকে তার ছাত্রের অভিভাবক দাবি করেন। ওই ব্যক্তি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মফিজুল ইসলামের রকেট নম্বরে টাকা প্রাপ্তির একটি ভুয়া মেসেজ পাঠান। তিনি বুঝতে না পেরে সরল বিশ্বাসে ওই নম্বরে ৪৫ হাজার টাকা ফেরত পাঠান। পরে রকেট অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স চেক করলে তিনি প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পারেন। এ ঘটনায় খান জাহান আলী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ভুক্তভোগী মফিজুল ইসলাম।
অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে বিকাশ এজেন্ট কিবরিয়া ও পঙ্কজ বাড়ইয়ের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেনের সত্যতা পাওয়া যায়। পরবর্তী সময়ে শেখর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাফিল মোল্যার মধ্যস্থতায় ভুক্তভোগীর ৪৫ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে রেহাই পান তারা।
তবে অভিযুক্ত সহস্রাইল বাজারের রংধনু টেলিকমের মালিক কিবরিয়া মোল্যাঞ্জানান, ১০-১২ দিন আগে আমার দোকান থেকে যে ব্যক্তি প্রতারণার টাকা উত্তোলন করেছেন আমি তাকে চিনি না। প্রতারক চক্রের সঙ্গে আমি জড়িত নই।
এ বিষয়ে শেখর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইসরাফিল মোল্যা বলেন, কিবরিয়া ও পঙ্কজ বাড়ইয়ের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট থেকে ভুক্তভোগীর টাকা লেনদেনের সত্যতা পাওয়া যায়। অভিযোগকারীর টাকা ফেরত দেওয়ায় পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়।
Somajer Alo24
Leave a Reply