শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, ০৬:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ভবিষ্যতের বাংলাদেশ হবে তারুণ্য নির্ভর; সীতাকুণ্ডে ছাত্রদলের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় লায়ন আসলাম চৌধুরী সাংবাদিক সোহাগ আরেফিন এর মান ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা; সিআরএ’র নিন্দা ও প্রতিবাদ কুড়িগ্রাম জেলার উন্নয়নে মানুষ আর মিথ্যে প্রতিশ্রুতি চায় না: সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি ইজারা বাতিল ও রাখাইনে করিডোর দানের ষড়যন্ত্র রুখতে বৃহত্তর আন্দোলনের ঘোষণা; স্কপ চট্টগ্রামে বেওয়ারিশ বৃদ্ধাশ্রমে রান্না করা খাবার বিতরণ কাল চট্টগ্রামে পথশিশু ও ছিন্নমূল মানুষের সাথে ঈদের খুশি ভাগাভাগি করে নিতে ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠিত কুড়িগ্রামে ৭৮টি কোরবানির গরু নিয়ে দুঃস্থদের পাশে যাকাত ফাউন্ডেশন অব আমেরিকা চট্টগ্রামে বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০২৫ উপলক্ষে ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি নেতা আব্দুর রাজ্জাক চট্টগ্রামে সিডিএ’র প্লানিং ছাড়াই ব্যবসায়ীর জায়গা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ; প্রশাসন ও সিডিএ’র নিরবতা

রূপগঞ্জে অবৈধভাবে সরকারি জমি দখল করা টেক্সটাইল মিলে কে এই জনসংযোগ কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৮৩ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পানি উন্নয়ন বোর্ড-এর জায়গা বেআইনী ভাবে দখল করে “এইচ এইচ টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেড” নামক একটি মিল নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে বরপায় স্থাপন করে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ব্যবসা করে যাচ্ছে সোহরাব হোসেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ নিজস্ব সার্ভেয়ার দ্বারা সরেজমিনে গিয়ে সরকারি জায়গা মেপে বের করে ডিমার্গেসন করে অবৈধ মিলের কর্তৃপক্ষকে বিল্ডিং ভাঙ্গার নির্দেশ প্রদান করেছেন। তবে মিল কর্তৃপক্ষ সকল নির্দেশনা উপেক্ষা করে ভবনটি অদ্যবধি না ভেঙ্গে স্থাপনাটি দৃশ্যমান রেখেছেন। এ নিয়ে জনসাধারণের বিভিন্ন প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে, “ফ্যাসিষ্ট সরকার পতনের পরও কিভাবে বা কাদের জোরে আইন উপেক্ষা করে দিব্বি দাঁড়িয়ে আছে এই মিল? “এইচ এইচ টেক্সটাইল মিলস্ লিমিটেড” এর অবৈধ দখল সম্পর্কে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, “নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তারাবো পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড বরপা বাজার থেকে মাসাবা রোডস্থ আরিয়াবো মৌজায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২. ৯৮ শতাংশ জমি দখলে নিয়ে দির্ঘদিন যাবত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে এইচ এইচ টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আওয়ামীলীগ দোসর সোহরাব হোসেন।”স্থানীয়রা জানায়, দখলবাজ সোহরাব হোসেন রূপগঞ্জের সাবেক এমপি গোলাম দস্তগীর গাজীর ছত্রছায়ায় ও তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার জুলাই গণহত্যার অন্যতম নির্দেশক হাবিবুর রহমানের সহযোগিতায় তার এসব অপকর্ম পরিচালনা করতেন। এছাড়াও ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের ৬৫ নং ওয়ার্ড এর তৎকালীন কমিশনার সেন্টুর দাপটে স্থানীয়ভাবে ক্ষমতার প্রদর্শন করতেন। ময়মনসিংহের আঞ্চলিক পত্রিকা প্রতিদিনের কাগজ নাম সর্বস্ব পত্রিকার প্রধান সম্পাদক খাইরুল আলম রফিককে এইচ এইচ টেক্সটাইলের জনসংযোগ কর্মকর্তা পদে দায়িত্বে রেখে কার্যক্রম চালান। ফ্যাক্টরির কোন তথ্য বা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে খাইরুল আলম রফিককে কৌশলগতভাবে ফোনে ধরিয়ে দিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য বাধা ও হুমকি প্রদান করেন। স্থানীয় ৬ নং ওয়ার্ড কমিশনার জাকারিয়া মোল্লাকে মাসিক মাসোয়ারা দিয়ে অবৈধভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে নিশ্চিন্তে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বে থাকা এসও এনামুল হক প্রতিবেদককে জানান, “তারা সরেজমিনে এসে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিজস্ব সার্ভেয়ার দ্বারা এইচ এইচ টেক্সটাইলের অবৈধভাবে দখলকৃত ২. ৯৮ শতাংশ জায়গা মেপে বের করে ডিমার্গেসন করেছেন এবং টেক্সটাইলের মালিক কর্তৃপক্ষকে বিল্ডিং ভাঙ্গার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু মিল কর্তৃপক্ষ কৌশলগতভাবে তাদের সকল নির্দেশনা মেনে নিলেও পরবর্তীতে তা না ভেঙ্গে অদ্যবধি অবৈধ স্থাপনাটি দৃশ্যমান রেখেছে। অপরদিকে ফ্যাক্টরির এজিএম মনিরের সাথে কথা বললে অবৈধভাবে জায়গা দখলের সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন “বিষয়টি আমি জানি তবে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তারাবো পৌরসভাকে একটি চিঠি দিয়েছেন, সেখানে কি লেখা ছিল আমি জানিনা। চিঠির বিষয়টি নিশ্চিত করতে তারাবো পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জেড এম আনোয়ারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে চিঠি দিয়েছে কিনা জানিনা। আর চিঠি দিয়ে থাকলেও আমি আপনাদেরকে দেখাতে পারছি না কারণ বিগত ৫ আগস্ট এর পরে পৌরসভার সমস্ত কাগজপত্র পুড়ে দিয়েছে উগ্রপন্থীরা। তবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে আমরা অবগত আছি যে এইচ এইচ টেক্সটাইলের মালিক সোহরাব হোসেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে সেখানে বিল্ডিং উঠিয়ে দেদারছে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন সরকারি সম্পত্তি যে কেউই হোক না কেন অবৈধভাবে দখল করা সম্পূর্ণ বেআইনি। এই বিষয়ে এইচ এইচ টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহরাব হোসেনের সাথে সাক্ষাৎ করতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা না বলে কৌশলে এরিয়ে যান। অন্যদিকে জাতীয় দৈনিকে “রূপগঞ্জে সরকারি সম্পত্তি দখলে নিয়ে টেক্সটাইল মিল স্থাপন” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানান এইচ এইচ টেক্সটাইলের জনসংযোগ কর্মকর্তা খাইরুল আলম রফিক এর পরিচালিত ময়মনসিংহের আঞ্চলিক পত্রিকা প্রতিদিনের কাগজ । যেখানে সংবাদপত্রটি দাবি করছে উক্ত প্রকাশিত সংবাদ একটি ভুয়া ও বানোয়াট সংবাদ এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানের জনসংযোগ কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ না করে প্রতিহিংসায় ভুয়া তথ্যের মাধ্যমে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। এছাড়াও তারা দাবি করেন এইচ এইচ টেক্সটাইল কোন সরকারি জায়গা দখল করে নি। যদিও এমন কথার কোন যুক্তিসংগত তথ্যপ্রমান তুলে না ধরেই তারা এই দাবি করছে। সরেজমিনে অনুসন্ধানে যে তথ্য উঠে আসে তাতে দেখা যায় স্পষ্টভাবে এইচ এইচ টেক্সটাইলের মিল সরকারি জমি দখল করে ভোগ করছেন মিল কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও অনুসন্ধানে মিল কর্তৃপক্ষের ও পাউবির কর্মকর্তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে একটি সুসংগঠিত ও দায়িত্বশীল প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতীয় দৈনিকটি। এবং এইচ এইচ টেক্সটাইলের জনসংযোগ কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ না করায় তারা দাবি করেন প্রতিহিংসায় ভুয়া তথ্যের প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই জনসংযোগ কর্মকর্তা খাইরুল আলম রফিক আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের প্রধান সম্পাদক, যার বলয় খাটিয়ে তিনি এতদিন আওয়ামীলীগের দোসর সোহরাব হোসেনের এইসব দূর্নীতি ও অপকর্মের তথ্য প্রকাশ হতে কৌশলে বাধা দিতেন ও এছাড়াও উক্ত দৈনিকের প্রতিবেদককে সংবাদ প্রকাশে বাধা প্রদান ও হুমকি প্রদান করেন। তাই এমন সমাজের মুখোশধারী সাংবাদিকের কাছে তার মদদদাতা আওয়ামীলীগের দোসর সোহরাব হোসেনের অপকর্মের বিরুদ্ধে তথ্য জানতে চাওয়া ভিত্তিহীন। মিল কর্তৃপক্ষের মতামত নেওয়ার জন্য মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহরাব হোসেন এর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান। তারপর ফ্যাক্টরির এজিএম মনিরের সাথে কথা বললে অবৈধভাবে জায়গা দখলের সত্যতা স্বীকার করেন তিনি। এছাড়াও প্রতিদিনের কাগজ তাদের প্রতিবাদে দাবি করেন সোহরাব হোসেন রূপগঞ্জের সাবেক এমপি গোলাম দস্তগীর গাজীর সাথে কোনভাবে সম্পর্কিত নয়। অনুসন্ধানে আরো জানাযায় , প্রতিদিনের কাগজের প্রধান সম্পাদক খায়রুল আলম রফিক ত্রিশালের সাবেক সাংসদ এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ পলাতক থাকায় তার সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন। খায়রুল আলম রফিক নির্দ্বিধায় সংবাদপত্রকে ব্যবহার করে এবং আওয়ামীগের সাবেক সাংসদ আনিছুজ্জামান আনিছ প্রতিদিনের কাগজের সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি বানিয়ে লাখ লাখ টাকা বানিজ্য করেন বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে। সোহরাব ও খায়রুল আলম যৌথভাবে ফ্যাসিস্ট সরকার থাকাকালীন সময় আওয়ামীলীগ নেতাদের ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের আমলাদের সাথে সংযুক্ত থেকে ক্ষমতার বলয় খাঁটিয়ে এইসব অপকর্ম ও দুর্নীতি করতেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Advertise

Ads

Address

প্রধান কার্যালয় :৩৭৯/৩ কলেজ রোড (আমতলা) আশকোনা ঢাকা - ১২৩০ Email:somajeralonews24@gmail.com Contact  :01823634261 Office:01924751182(WhatsApp) Video editor :01749481920
© All rights reserved 2023

Somajer Alo24