শেরপুরের সীমান্তবর্তী এলাকায় নালিতাবাড়ী,ঝিনাইগাতী উপজেলার মধুটিলা,নকশি,গান্ধীগাও ইকোপার্কের ভিতরে ও ঝিনাইগাতী উপজেলায় বন্যহাতির তান্ডবে মৌসুমী কসমেটিক্স দোকান ঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার (২৩ ও ২৪ নভেম্বর) রাতে বন্যহাতির দল প্রথমে ইকোপার্কের ভিতরে,পরে ঝিনাইগাতীর (২৪ নভেম্বর রাতে) নকশি এবং গান্ধীগাও এ রাতব্যাপী তান্ডব চালায়। তান্ডব চালিয়ে ব্যবসায়ীদের দোকান ও কৃষি খামারের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। ব্যবসায়ীরা জানান,বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রায় ৪০/৫০ টির বন্যহাতির পাল মধুটিলা ইকোপার্কে ভিতরে ঢুকে পড়ে। এসময় হাতিরপাল ব্যাপক তান্ডব চালিয়ে পার্কের ভিতরের গাছপালা,পার্কে বসার জন্য স্টীলের ছাতা ও অস্থায়ী মৌসুমী কসমেটিক্স দোকান,জাহাঙ্গীরের আচারের দোকান,হামিদুলের আচারের দোকান ও হাম্বিলার কসমেটিক্সের দোকানের মালামাল তছনছ করে। এতে তিন ব্যবসায়ীর প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তারা জানান।
পরে তারা ডাকচিৎকার ও হৈ-হেল্লোর করে হাতি তাড়ান। ইকোপার্কের কসমেটিক্স দোকানী নাসির উদ্দিন বলেন, আগে বন্য হাতির পাল পার্কের ভিতরে ঢুকলেও আমাদের দোকানের কোন ক্ষয়ক্ষতি করতো না। এখন দোকানে হামলা করছে।একই সাথে দোকানে রাখা আচার খেয়ে ফেলছে ও মালামাল পা দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করছে। এতে আমরা খুব আতংকের মধ্যে আছি। তিনি আরও বলেন হাতির পাল ইকোপার্কের কাছাকাছি জঙ্গলের মধ্যে আছে রাতের যে কোন সময় পার্কে হামলা করতে পারে।
ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা ফরেষ্ট রেঞ্জকর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বন্যহাতির পাল কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে ইকোপার্কসহ আশপাশের এলাকায় দফায় দফায় তান্ডব চালাচ্ছে। বৃহস্পতিবার ও শুকবার রাতে বিভিন্ন জায়গায় তান্ডব চালিয়ে তিনজন ব্যবসায়ীর দোকানের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। তিনি আরও বলেন বন্যহাতিকেও রক্ষা করতে হবে তাই এদেরকে কখনই উত্যক্ত করা যাবে না।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইলিশায় রিছিল বলেন,আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন বিভাগের সাথে কথা বলেছি।বন্যহাতি দ্বারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করে তাদেরকে সরকারীভাবে ক্ষতিপুরণ দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Somajer Alo24
Leave a Reply