লিয়াকত হোসেন লিমন, চট্টগ্রাম:
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত বুধবার (৭ মে) সকালে নগরঈর বালুছড়া বিআরটিএ অফিসে এ অভিযান চালানো হয়।
দুদক সূত্রে জানা যায়, বিআরটিএ চট্টগ্রাম অফিসের বিরুদ্ধে হয়রানি, ঘুষ গ্রহণ, ফিটনেস লাইসেন্স প্রদান ও গাড়ির মালিকের নাম পরিবর্তনে অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অফিসের চার কর্মকর্তা ও কর্মচারী কাজ ভেদে সেবাপ্রার্থী থেকে ২ হাজার থেকে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ আদায় করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন থেকেই এখানে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ ছিল। প্রায় দুই হাজার থেকে দুই লাখ টাকার ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ ছিল।
চারজন কর্মকর্তার লাইসেন্সের ডাটা নিয়েছি, আমরা এগুলো পরীক্ষা করবো। সে অনুযায়ী আমরা পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।
এসময় বিআরটিএ অফিসে ডেকে আনা হয় সিএমপির ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. দিনারকে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্ত্রীর নামে একটি মাইক্রোবাসের রেজিস্ট্রেশন কারনো হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স হিসাবে। এতে শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন তিনি। এ নিয়ে বিআরটিএ তাকে চিঠিও দিয়েছে।
এ বিষয়ে মো. এমরান হোসেন বলেন, অ্যাম্বুলেন্সটা মাইক্রোবাস হিসেবে উনি ব্যবহার করছেন। তার জন্য আমরা রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেছি। আমরা তথ্য নিয়েছি এবং সার্জেন্টেরও বক্তব্য নিয়েছি। এটার সত্যতা পেয়েছি। এ বিষয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন দাখিল করবো। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিআরটিএ কার্যালয়ে দুদক কর্মকর্তাদের দেখে ছুটে আসেন সেবাপ্রার্থীরা। তারা দালালের দৌরাত্মসহ নানা হয়রানি ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ করেন।
Shohidul Islam
SOMAJER ALO24