ওয়াহিদুজ জামান, ক্রাইম রিপোর্টার, ফরিদপুর:
হৃদয়বিদারক ঘটনা, কিছু কিছু মৃত্যু মেনে নিতে কষ্ট হয়। তারপরেও মৃত্যু তো মৃত্যুই, আসার সিরিয়াল আছে, যাওয়ার কোন সিরিয়াল নাই।
আতশবাজির লোভেই প্রাণ গেল মাদ্রাসা ছাত্র সাইমুনের(১০) ।
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়ার এক সপ্তাহ পর আজ মঙ্গলবার (১লা এপ্রিল) ভোর সাড়ে পাঁচটায় ঢাকার পপুলার হাসপাতালে সকলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন।
নিহত সাইমুন ইসলাম সুজাত, সৌদি প্রবাসী, পল্লীবেড়া গ্রামের, ফারুক হোসাইনের ছোট বোনের(শালিকা) ও নাজমুল মেম্বারের ছোট বোন সুমা আক্তারের একমাত্র ছেলে । সাইমুনের মৃত্যুতে মা বাবা, মামারা,খালা খালু সহ পরিবারের লোকজন পাগল প্রায়। নিস্তব্ধ হয়ে পড়েছেন পরিবারের সবাই।
এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার তারাবি নামাজের পর ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ভাঙ্গা-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ের বগাইল সার্ভিস সড়কে। সাইমুনকে তার দুই বন্ধু আতশবাজি কেনার লোভ দেখিয়ে ভাঙ্গার বাসা থেকে মোটরসাইকেলে এরা তিনজন রওনা দেন মালিগ্রামের উদ্দেশ্যে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থলে সাইমুুনের বন্ধু মোটরসাইকেল চালক মারা যান, গুরুতর আহত সাইমুনও এক সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে হেরে যান। এ ধরনিতে তাকে আর রাখা গেল না।
নিহত সাইমুন ভাঙ্গার একটি কওমি মাদ্রাসায় পড়তো, ওদের বাসা ভাঙ্গা কাজী শামসুন্নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন সিয়াম মঞ্জিলে।
Shohidul Islam
SOMAJER ALO24