২১শে রমজান (২২ মার্চ) ইমামে আলী (আ:) এর শাহাদত স্মরণে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে মুহিব্বীনে আহলে বায়েত ফাউন্ডেশন এক আলোচনা সভার আয়োজন করে সৈয়দ জাফর সাদেক (ম.আ.) সাজ্জাদানশীন চট্টগ্রাম দরবার শরীফ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট গবেষক ও আলোচক শাহজাহান আলী খান, বিশিষ্ট তাসাউফ পন্থী সাধক মি.মি. আবদুল হাকীম সাহেব।
আলোচকগন পবিত্র কুরআন ও হাদিসে নবমীর আলোকে সৈয়েদেনা আলী ইবন আবু তালীব (আ:) এর সুমহান মর্যাদা ও ফজিলত আলোচনা কালে বলেছেন নবীজি'র ফরমান " হে আলী তুমি আমার ভাই ঠিক সে অবস্থানে যে রকমভাবে মুসা (আ:) এর জন্য হারুন, কিন্তু আমার পর কোন নবী আসবেনা [ সহি বোখারি মুসলিম ]। আলি হকের (সত্যের) সাথে, হক আলীর সাথে। আলী কুরআনের সাথে, কুরআন আলীর সাথে। আল্লাহর রাসুল (সা:) যে জ্ঞানের শহর আলী সে শহরের প্রবেশ পথ। পবিত্র কুরআনের ভাষ্যে আলী নবীজি'র সত্তা।
নিশ্চয়ই মহানবীজি'র এ পবিত্র বানী গুলি সাহাবারাই সর্বাগ্রে জেনেছেন, তাই প্রশ্ন জাগাটা কি স্বাভাবিক নয়, কিভাবে নবীজি'র ইহধাম ত্যাগের পর মসজিদে কুফায় ফজরের নামাজে সেজদারত অবস্থায় শহীদ করে দেওয়া হয়? এর প্রতিবাদ তো দুরের কথা একটু সমবেদনা জ্ঞাপন করেছে এমন তথ্য মেলেনা বরং এ তথ্য পাওয়া যায় খারেজিরা ইমাম আলী [ মু'মেনীন গনের অভিভাবক ], মুয়াবিয়া, আমর ইবনুল আছ, মুগিরা ইবনে সুয়াইবা এ চারজন কে হত্যা করার জন্য চারজন লোক মোতায়েন করে হত্যা করার জন্য। বধবখ্ত ইবনে মুলজিম মসজিদে আলী কে পেয়ে হত্যা করে আর বাকিদের কে পায়নি সময় সুযোগ মত তাই তারা বেচে যায়! বাহ! কি চমৎকার ধোঁকাবাজি!! মাওলা আলী কে হত্যা করা মানে নবীজি (সা:) কে হত্যা করা নয় কি? এ অর্থে আমি যাঁর মাওলা (অভিভাবক) আলীও তাঁদের মাওলা (অভিভাবক) এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে পবিত্র কুরআন এর নির্দেশে। আলী কে হত্যা করা মানে পবিত্র কুরআন কে হত্যা করা নয় কি?
খুবই তাৎপর্যপুর্ন ও গুরুত্বপূর্ণ হাদিস " হে আলী বিশ্বাসী ব্যতীত তোমাকে ভালোবাসবে না ( শ্রদ্ধা ভক্তি ও মান্য করা অর্থে), আর মুনাফিক ছাড়া বিদ্বেষ পোষনকারি হতে পারে না" এ হাদিস দ্বারা নবীজি (আ:) বিশ্বাসী ও মুনাফিকের পরিচয় করিয়ে দেন। তাহলে একটু ভেবে বলুন এত ঘৃনিত কাজ যারা করেছে, যে সময় করেছে এদের পরিচয় কি এ নির্মম কান্ডের জন্য স্পষ্ট নয় কি? আজ মুসলমানের এ পরিনতি কেন হবে না মহান আল্লাহর নির্দেশে রেখে যাওয়া উম্মতের কান্ডারী, সে মহান আল্লাহর মহাবীর, সহি বোকারি ও মুসলিমে বর্নিত খায়বারে প্রায় ৩৯ বার অভিযান প্রেরণ করার পরও ব্যর্থ হয়েছে সে মুহুর্তে মহিমান্বিত রাছুলাল্লাহ (সা:) ফরমায়েছিলেন " কাল আমি এমন একজনের হাতে পতাকা অর্পণ করবো যাকে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা:) ভালোবাসেন এবং সেও আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা:) আনুগত্য পরায়ন।
এ সব ফাযায়েল তো সাহাবায়ে কেরামগনের উপস্থিতিতেই নবীজি (সা:) ফরমায়েছিলেন। তাহলে কি করে এ হত্যাকান্ড তাও এত নির্মমভাবে ?? আজ এ সবের ফলশ্রুতি নয়কি ফিলিস্তিন কে চতুর্দিকে ঘেরোয়ায় রেখে নির্মমভাবে হত্যা করা হচ্ছে আর বিশ্বের শ্রেষ্ঠ রাস্ট্র গুলি অত্যাচারি জালিমদের ভয়ে কম্পিত অথবা সে জালিমদের তল্পিবাহক। কেহই সাহস করতে পারছে না সবাই মুসলমান।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
Shohidul Islam
SOMAJER ALO24