নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম মহানগরে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চলাচলে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অদৃশ্য কোন এক শক্তির বলে এসব গাড়ি দেদারছে চলছে চট্টগ্রাম মহানগরীতে।
আর এ চলাচলকে আরও বেগবান করতে কয়েকটি সংগঠন মিলে গড়ে তোলা হয়েছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। অভিযোগ রয়েছে অবৈধ এসব গাড়ি চলতে দেয়া বাবদ খুলশী এলাকায় প্রতিদিন চাঁদাবাজি হয় কমপক্ষে ৫ লাখ টাকা।
কোনো রকম সরকারি অনুমোদন ও রাজস্ব আদায় ছাড়াই চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় প্রায় ১০ হাজার ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করছে। দৈনিক অটোরিকশা প্রতি ১৩০–১৫০ টাকা চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। কোথাও কোথাও আবার এই চাঁদার পরিমাণ ১৭০–১৮০ টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্যাটারিচালিত রিকশায় দুই ধরনের ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এর মধ্যে কেউ কেউ ১৩০ ভোল্টের ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাটারি ব্যবহার করে। আবার কেউ কেউ ২৩০ ভোল্টের ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাটারি ব্যবহার করে থাকে। এই দুই ধরনের ব্যাটারি চার্জ দিতে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ বিল খরচ হয় ৩০ থেকে ৪০ টাকা। বাকি টাকা গ্যারেজ মালিকের বাড়তি মুনাফা।
আবার বেশ কয়েকটি জায়গায় অবৈধভাবে চার্জ দেওয়া হচ্ছে এসব অটোরিকশা।
অনুসন্ধানে জানা যায়,বিজিএমইএ ভবনের সামনে থেকে ঝাউতলা বাজার হয়ে আমবাগান রেলগেট ও সাউদার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে পলিটেকনিক মোড় পর্যন্ত প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল করছে।খুলশী থানাধীন জালালাবাদ থেকে ওয়্যারলেস হয়ে সেগুনবাগান রেল স্কুল ও মামা–ভাগিনার মাজার পর্যন্ত রয়েছে প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা।
এসব ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাগুলোর নিয়ন্ত্রণ করছে নগরীর ১৩ নং ওয়ার্ডের ঝাউতলা একালার পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর আরাফাত উল্লাহ, মো: বাবুল, মিজানুর রহমান (মিজান), পানির ট্যাংকি এলাকার মোস্তফাগং।
এ বিষয়ে জানতে আরাফাত উল্লাহ ও মিজানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কেউ ফোন রিসিভ করেনি।
আরও বিস্তারিত আসছে দ্বিতীয় পর্বে.......
Shohidul Islam
SOMAJER ALO24