নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা আইনিভাবে মোকাবেলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ কারণে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগে দুটি আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। আদালত দুটি আবেদনই মঞ্জুর করেছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আপিল দ্রুত শুনানি করতে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা আপিলের পেপারবুক তৈরির অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। গতকাল রবিবার শুনানির পর আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হকের চেম্বার আদালত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার আপিলটি শুনানির জন্য আগামী ১০ নভেম্বর তারিখ ধার্য করেন।
অন্যদিকে নিজ খরচে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা আপিলের পেপারবুক তৈরির অনুমতি দেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, গাজী কামরুল ইসলাম সজল।
আইনজীবী জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া কোনো অনুকম্পা চান না। তিনি মামলা দুটি আইনিভাবে মোকাবেলা করতে চান।
আইনজীবী কায়সার কামাল বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জানেন, সবাই জানে, মামলা দুটি ভিত্তিহীন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তার পরও তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আদালতের প্রতি বিশ্বাসী। এ কারণে আমরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করার জন্য। আমাদের দুটি আবেদন ছিল। একটি ছিল জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে বিচারাধীন আপিল শুনানির আবেদন। চেম্বার আদালত এই আবেদনটি গ্রহণ করে ১০ নভেম্বর আপিল শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
আর আরেকটি আবেদন ছিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আপিলের পেপারবুক নিজ খরচে প্রস্তুত করার অনুমতির আবেদন। হাইকোর্ট আবেদনটি মঞ্জুর করে পেপারবুক প্রস্তুতের অনুমতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি। আশা করছি সপ্তাহখানেকের মধ্যে পেপারবুক প্রস্তুত করতে পারব।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। এরপর আপিলের রায়ে হাইকোর্ট সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল , আপিল বিভাগে বিচারাধীন। আর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালত খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিলটি হাইকোর্টে বিচারাধীন।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার দণ্ড মওকুফ করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন রাষ্ট্রপতি। কিন্তু জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা আইনিভাবে মোকাবেলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
Shohidul Islam
SOMAJER ALO24