লিয়াকত হোসেন,ফরিদপুর:
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় অপহরণ হওয়ার ২৪ দিন পরেও হদিস মেলেনি মা ও মেয়ের। এমনই অভিযোগ অপহরণ হওয়া গৃহবধূর প্রবাসী বাবা মায়ের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অপহরণ হওয়া ঐ গৃহবধূ উপজেলার আলগী ইউনিয়নের গুনপালদী গ্রামের শাহাদাৎ মোল্লার মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার ও তার ২ বছরের শিশু কন্যা তানহা। এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অপহরণ হওয়া ইয়াসমিন আক্তারের মা মোসা: পারভিন আক্তার।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের গুনপালদী গ্রামের শাহাদাৎ মোল্লার মেয়ে ইয়াসমিন আক্তারের সাথে পার্শ্ববর্তী নগরকান্দা উপজেলার কোদালীয়া শহীদ নগর ইউনিয়নের পাইককান্দি এলাকার মিজানুর রহমান মোল্লার ছেলে তাহমিদ মোল্লার সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
গত ২৬ জুলাই ইয়াসমিন আক্তার কে তার শশুর বাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে পাশবিক নির্যাতন করে। এরপর ইয়াসমিন কে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ইয়াসমিনের মা পারভীন আক্তার গত ২৬ জুলাই নগরকান্দা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। এরপর থেকে ইয়াসমিন ও তার কন্যা তার পিতার বাড়ি গুনপালদীতে অবস্থান করছিলেন।
কিন্ত গত ৩ সেপ্টেম্বর ইয়াসমিন আক্তার ও তার শিশু কন্যা তানহা কে একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তেরা।
তারপর থেকেই আর খোঁজ মেলেনি ইয়াসমিন আক্তার ও তার ২ বছরের ফুটফুটে কন্যা সন্তান তানহার।
এরপর ইয়াসমিনের মা পারভীন আক্তার ভাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্ত অভিযোগ দায়েরের ২৪ দিন পেরিয়ে গেলেও কোন খোঁজ মেলেনি অপহরণ হওয়া মা ও শিশু কন্যার।
এ বিষয়ে পারভীন আক্তার ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়েকে নির্যাতন করতো ওর শশুর বাড়ির লোকজন। আমার মেয়েকে অনেক নির্যাতন করায় আমরা নগরকান্দা থানায় একটা ও মামলা করি। সে মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমার মেয়ের শশুর বাড়ির লোকজন আমার মেয়েকে ও নাতীকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যেতে পারে বলে সন্দেহ হয়। আমি আমার মেয়ে ও নাতনীর সন্ধান চাই।
এ বিষয়ে অপহরণ হওয়া ইয়াসমিন আক্তারের প্রবাসী পিতা শাহাদাত হোসেন জানান, আমি আমার মেয়ে ও নাতনীর সন্ধান পেতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
এ বিষয়ে জানতে ইয়াসমিনের শশুর বাড়ির লোকজনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মুঠোফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এই বিষয়ে ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ কবির মোল্লা জানান, আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করছি। এখনো ইয়াসমিন আক্তার ও তার মেয়েকে খুজে পাইনি।তবে তাকে খুঁজে পেতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
Shohidul Islam
SOMAJER ALO24