লিয়াকত হোসেন,ফরিদপুরঃ
আজ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বাদ মাগরিব বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এবারের মহা পবিত্র উরশ শরীফের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।বিশ্বের শান্তিকামী মানবতার এ ইসলামী মহা মিলনমেলায় (২০ ফেব্রুয়ারি) বাদ ফজর বিশ্বওলী খাজা বাবা কেবলাজান ছাহেবের রওজা শরীফ জিয়ারত ও আখেরী মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ব উরশ শরিফে যোগদানের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে দেশ বিদেশের জাকেরান ও আশেকানসহ মুসল্লিরা পৌঁছেছেন। আজ মাগরিব নামাজ বাদে দুই রাকাত করে ৬ রাকাত নফল নামাজ আদায় ও দোয়াসহ ফাতেহা শরিফ পাঠের মাধ্যমে এ দরবার শরিফে বিশাল ধর্মীয় মিলন মেলার আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে।
তবে জুমা নামাজের বিশাল জামাতে অংশগ্রহণসহ পীর ছাহেবের কবর জিয়ারতের লক্ষ্যে সর্বস্তরের মানুষ ইতোমধ্যে বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে এসে পৌঁছেছেন। এবারো সারাবিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে জাকেরান ও আশেকান এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমান ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীরা বিশ্ব জাকের মঞ্জিলে সমবেত হবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের পীর ছাহেব হজরত মাওলানা শাহ সুফি সৈয়দ খাজাবাবা ফরিদপুরী ছাহেব-এর প্রতিষ্ঠিত বিশ্ব জাকের মঞ্জিল ও সন্নিহিত প্রায় ৩৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে এ উরশের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। লাখ লাখ জাকের ও আশেকসহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের আল্লাহ আল্লাহ জিকির এবং নামাজসহ বিভিন্ন ধরনের এবাদত বন্দেগীতে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল ও সন্নিহিত এলাকাসমূহ এক ভিন্ন পরিবেশ লাভ করতে যাচ্ছে।
আপন পীর, উপমহাদেশের প্রখ্যাত সুফী সাধক হজরত মাওলানা শাহ সুফী সৈয়দ খাজা ইউনুস আলী এরায়েতপুরী ছাহেবের নির্দেশে বাংলা ১৩৫৪ সনে শাহ সুফি সৈয়দ ফরিদপুরী ছাহেব ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আটরশি গ্রামে ইসলাম প্রচারে নিয়োজিত হন। সেদিন মাত্র সাড়ে ৬ টাকায় খেজুরের খোলের বেড়া ও ছনের ছাউনি দেয়া ঘর কিনে আটরশিতে ‘জাকের ক্যাম্প’ প্রতিষ্ঠা করে ইসলাম প্রচার শুরু করেন পীর ছাহেব। কালের বিবর্তনে সেই জাকের ক্যাম্পই আজকের ‘বিশ্ব জাকের মঞ্জিল’।
এদিকে উরশ উপলক্ষ্যে নান্দনিক সাজে সজ্জিত হয়েছে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল। দেশ-বিদেশ থেকে আগতদের জন্য ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অনুষ্ঠান ভেন্যু করা হয়েছে। পুরো ভেন্যুর প্রবেশ পথে বিভিন্ন স্থানে সুদৃশ্য তোরণ, অসংখ্য প্ল্যাকার্ড স্থাপন, আল্লাহু আকবার খচিত অসংখ্য পতাকা,জামে মসজিদসহ সব স্থাপনায় নতুন করে রঙয়ের প্রলেপ, পর্যাপ্ত সফেদ এলইডি বাতি- সব মিলিয়ে অপরুপ এক সাজে সজ্জিত বিশ্ব জাকের মঞ্জিল।
পুরো এলাকা ঘিরে অর্ধশতাধিক পর্যবেক্ষণ টাওয়ার ও নিরাপত্তা চৌকি এবং সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে মূল এলাকার বাইরে বিশাল পার্কিং স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও বিনামূল্যে মোটরসাইকেল পার্কিং এর ব্যবস্থা রয়েছে।
Shohidul Islam
SOMAJER ALO24