বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ক্যাজুয়াল শ্রমিকদের বেতনের সঙ্গে প্রণোদনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের মূল বেতনের সঙ্গে যুক্ত হবে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ। সম্প্রতি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালনা পর্ষদের ২৯৮তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার বোর্ড সভার এ সিদ্ধান্ত নিয়ে অফিসিয়াল আদেশ আকারে নোটিশ দেন বিমানের পরিচালক (প্রশাসন) মো. ছিদ্দিকুর রহমান। আদেশে পাঁচ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির বিষয়টিকে ‘বিশেষ সুবিধা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিমানের বর্তমান কর্মী, অবসরপ্রাপ্ত কর্মী, সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ক্যাজুয়াল শ্রমিক মূল বেতনের ওপর এ প্রণোদনা পাবেন। শতাংশের হিসেবে ৫ শতাংশ হলেও বেতন বাড়বে নূন্যতম এক হাজার।
আদেশে বলা হয়েছে, বিমান, বিএফসিসি, বিপিসির কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ক্যাজুয়াল কর্মচারীরা ১ জুলাই, ২০২৩ তারিখ থেকে প্রাপ্য মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (১০০০ টাকার কম নয়) বিশেষ সুবিধা প্রাপ্য হবেন। অবসর-উত্তর ছুটিতে (পিআরএল) থাকা কর্মচারীরা সর্বশেষ প্রাপ্ত মূল বেতনের ওপর এবং পেনশন গ্রহণকারীরা ১ জুলাই ২০২৩ তারিখে প্রাপ্য নীট পেনশনের ওপর ৫ শতাংশ হারে (তবে এক হাজার টাকার কম নয়) এই ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রাপ্য হবেন। স্কেলভুক্ত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রেও নির্ধারিত মূল বেতনের ভিত্তিতে এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে। তবে, এ সুবিধা প্রতি বছর প্রদান করার ক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করতে হবে।
এতে আরো বলা হয়, বিমানের (বিএফসিসি, বিপিসিসহ) সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার নিমিত্তে নৈমিত্তিক ভিত্তিতে যে সকল কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন, তারাও স্ব স্ব মজুরির পাঁচ শতাংশ হারে বিশেষ সুবিধা প্রাপ্য হবেন। ২০২৩ সালের সালের সেপ্টেম্বরে একই ধরনের আদেশ জারি করেছিল বিমান। তবে সেই আদেশে প্রণোদনাপ্রাপ্তদের তালিকায় ক্যাজুয়াল কর্মচারীদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তাদের দাবির মুখে এবার নতুন করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ। সেপ্টেম্বরে জারি করা আদেশটিও বাতিল করা হয়।
অর্থ বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় নীতিমালা সংস্কার কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে। কর্মসূচির আওতায় রয়েছে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ প্রশমিত করা, স্বল্প কার্বন অর্থনীতিতে রূপান্তর, টেকসই ও জলবায়ু-কেন্দ্রিক উন্নয়ন পথ সহজতর করা, স্থিতিশীলতা জোরদার করা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ঝুঁকি ও ভঙ্গুরতা কমানো।
ঋণ চুক্তি অনুযায়ী এই কর্মসূচির লক্ষ্য ইতোমধ্যেই অর্জিত হয়েছে। ১৯৯৩ সাল থেকে কোরিয়ান সরকারের পক্ষ থেকে কোরিয়া এক্সিম ব্যাংক বাংলাদেশের বিভিন্ন অগ্রাধিকারমূলক উন্নয়ন প্রকল্পে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করে আসছে।বার্ষিক ০.৫ শতাংশ হারে সরল সুদে ঋণটি ৭ বছর ৬ মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ মেয়াদপূর্তির সময়কাল ২৫ বছর ৬ মাস। সূত্র: বাসস
Shohidul Islam
SOMAJER ALO24