দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ সব বাহিনী ২৯ ডিসেম্বর মাঠে নামবে। তারা মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩ দিন দায়িত্ব পালন করবে।
এতে বলা হয়েছে, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় মেট্রোপলিটন এলাকা, মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে এবং পার্বত্য ও দুর্গম এলাকার সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৫-১৬ জন ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ১৬-১৭ জন পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ফোর্স মোতায়েন থাকবে। প্রয়োজনে রিটার্নিং কর্মকর্তা এ সংখ্যা বাড়াতে পারবেন।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, নির্বাচনে ৫ লাখ ১৬ আনসার সদস্য, এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ পুলিশ ও র্যাব সদস্য, দুই হাজার ৩৫০ কোস্টগার্ড সদস্য, ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।
এ ছাড়া সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার সম্প্রতি জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৫ হাজার সদস্য নিয়োজিত ছিলেন। এবার প্রয়োজনে এর চেয়ে বেশি মোতায়েন করা হতে পারে। আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ২৭টি দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৯৬ জন। তবে উচ্চ আদালত থেকে নির্দেশনা এলে এ সংখ্যা আরও বাড়তে বা কমতে পারে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। আর ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৮৫২ জন।
চার লাখ ছয় হাজার ৩৬৪ জন প্রিজাইডিং অফিসার, দুই লাখ ৮৭ হাজার ৭২২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৪৪৩ জন পোলিং অফিসার, মোট নয় লাখ নয় হাজার ৫২৯ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন।
Shohidul Islam
SOMAJER ALO24