আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর সদর আসনের আগামীর নৌকার কান্ডারী, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা জননেতা এ. কে. আজাদ তাঁর নিজ আসনের ইউনিয়ন পর্যায়ের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় ও গণসংযোগ করেছেন। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিনি ফরিদপুর সদরের আলিয়াবাদ ইউনিয়ন, নর্থচ্যানেল ইউনিয়ন এবং ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ এবং মতবিনিময় সভা করেন।
দুপুরে জুমআ’র নামাজের পর ঈশান গোপালপুর জমিদার ঈশান বাবুর বাড়ির উঠানে মতবিনিময় সভায় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে আজাদ। এসময় সময় তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের মাঝে এমপি হতে আসিনি, এসেছি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিগত দিনে দেশের উন্নয়নে যা করেছেন তা আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে। প্রধানমন্ত্রী কীভাবে দিন-রাত পরিশ্রম করে জাতির জনকের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করে যাচ্ছেন।’
এ. কে. আজাদ বলেন, ‘একজন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি সব ভোটার এর ই চেয়ারম্যান। কে ভোট দিল আর কে ভোট দিল না নির্বাচিত হওয়ার পর তা আর বিচার করা যাবে না। কিন্তু এই ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তার পরিষদের বিভিন্ন মানুষকে সেবা থেকে বঞ্চিত করে হয়রানি করছেন। আপনার (চেয়ারম্যান) কাছে নাগরিক সনদ, জন্ম সনদ, আইডি আনতে গেলে দিচ্ছেন না। আমি সেবা বঞ্চিতদের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি।’ এ. তে. আজাদ এ সময় চেয়ারম্যানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘তারা আইনি ব্যবস্থা নিলে আপনার চেয়ারম্যানি কিন্তু থাকবে না।’
মতবিনিময় সভা শেষে জননেতা এ. কে. আজাদসহ নেতারা ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার জমিদার বাড়ির শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে বাড়িতে নির্মিত শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এর আগে নর্থচ্যানেল ইউনিয়নে জহির উদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গি গ্রামে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল মজিদ ফকিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এ. কে. আজাদ। শুক্রবার সকালে তিনি আলিয়াবাদ ইউনিয়ন খুশির বাজারে আওয়ামী লীগের আয়োজন এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ডাবলুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে কাজ করছে। আমার লোকজনকে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে গেলে তারা ক্ষমা চেয়েছে, আমি ক্ষমা করে দিয়েছি। কিন্তু ভবিষ্যতে আমার নেতা-কর্মীর উপর ফুলের টোকা দিলেও আপনাদের চার দেয়ালে ভাত খেতে হবে।’
এছাড়াও সন্ধ্যায় এ. কে. আজাদের ঝিলটুলির বাসভবনে পৌর আওয়ামী লীগ ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যৌথ মতবিনিময় সভা হয়েছে। সভায় আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করতে এবং বিরোধী অপশক্তিকে প্রতিহত করতে মাঠে নেমে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন আওয়ামী লীগ নেতা এ. কে. আজাদ। এসময় পৌর আওয়ামী লীগ ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনির, আলিয়াবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হাদি, ডিগ্রিরচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু, নর্থচ্যানেল ইউনিয়ন সেন্টার কমিটির সভাপতি মমিন ব্যাপারী ও উজ্জল সরকার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন হা-মীম গ্রুপের পরিচালক বেলাল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বদিউজ্জামান বাবুল, জেলা মহিলা আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা নুসরাত রাসুল তানিয়া, কোতোয়ালি আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মানোয়ার হোসেন, সদস্য ফকির মো. বেলায়েত হোসেন, সদস্য আওয়াল সরদার, মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জামাল উদ্দিন কানু, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন, গেরদা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ মিয়াসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
Shohidul Islam
SOMAJER ALO24