আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর -৩ (সদর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ. কে. আজাদ। জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে ফরিদপুরে একটি শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা হবে অন্যতম কাজ বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ. কে. আজাদ বলেন, ভোলার গ্যাস ফরিদপুরে এনে শিল্প এলাকা গড়ে তুলতে চাই। এই জেলায় মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চাই। ১৯৬০-এর দশকে ফরিদপুরে পাট শিল্প গড়ে উঠেছিল। সেটি এখন অনেকটা বিলুপ্তির পথে। তবে পদ্মা সেতু নির্মাণের পর ফরিদপুরে শিল্পকলকারখানা গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ফরিদপুরে শিক্ষার মান ভালো না হওয়ার কারণে তরুণদের চাকরি পেতে সমস্যা হয়। তাই শিক্ষার মান বাড়ানোর জন্যও কাজ করব।
এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলার উন্নয়ন এবং সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবা ও ওষুধপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন এ. কে. আজাদ। পদ্মা নদীর অন্য পাড়ে চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ সুবিধা দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার কাজ ত্বরান্বিত করতে চান তিনি।
ব্যবসায়ী হিসেবে ইতোমধ্যে ফরিদপুরে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করছেন এ. কে. আজাদ। তিনি বলেন, ‘আমি বিদ্যালয় ও কলেজ প্রতিষ্ঠা, চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। এ ছাড়া হা-মীম ট্রেনিং সেন্টারের মাধ্যমে এরই মধ্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। আমার লক্ষ্য, তরুণদের ট্রেনিং দিয়ে ঢাকায় নিয়ে চাকরির ব্যবস্থা করা।’
হা-মীম গ্রুপে যে ৭৫ হাজার কর্মী কাজ করেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ফরিদপুর অঞ্চলের। ভবিষ্যতে নির্বাচনী এলাকার ১২টি ইউনিয়নের সব কটিতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে বলে জানান এ. কে. আজাদ। তিনি বলেন, ‘আমার ১ নম্বর অগ্রাধিকার কর্মসংস্থান। সাধারণ কোনো কর্মসংস্থান নয়, বরং প্রশিক্ষণ দিয়ে তারপর কর্মসংস্থান।’
হা-মীম গ্রুপ পুরো বিশ্বেই অন্যতম বড় তৈরি পোশাক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। নামীদামি সব ফ্যাশন ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করে হা-মীম গ্রুপের পোশাক কারখানাগুলো। তৈরি পোশাক ছাড়াও চা, পাট, পরিবহন ও গণমাধ্যমে বিনিয়োগ করেছে হা-মীম গ্রুপ। সব মিলিয়ে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ হা-মীম গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে বলে জানান তিনি।
Shohidul Islam
SOMAJER ALO24