ফরিদপুরের ভাঙ্গা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে জুতা পরে না আসায় সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক হায়দার হোসেনের বিরুদ্ধে।
গত রোববার (১৫ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীর নাম তাসফিম আলী (১৩)।
আহত শিক্ষার্থীর পরিবারের অভিযোগ, ভাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে রাস্তা সংস্কার করা এবং রাস্তার পাশে থাকা ভাঙ্গা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত টিনের ঘর (স্কুল বোর্ডিং) ভাঙা ও সরানো নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষার্থী তাসফিমের বাবার ঝামেলা হয়। এর জের ধরে তাসফিমকে পেটান প্রধান শিক্ষক হায়দার হোসেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা ও ভাঙ্গা পৌরসভার ১ নম্বর প্যানেল মেয়র আইয়ুব আলী বলেন, ‘আমার ছেলেকে ভর্তির সময় আমরা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, আমার ছেলে অসুস্থ তাই জুতা ব্যবহার করতে চিকিৎসক নিষেধ করেছেন। আমার ছেলে যেন বিদ্যালয়ে জুতা ছাড়া আসতে পারে সেজন্য মৌখিক অনুমতি নেওয়া ছিল। তারপরও জুতা না পরার কারণে প্রধান শিক্ষক আমার ছেলেকে মেরেছেন।’
তাসফিমের মা তানিয়া খানম বলেন, ‘আমার ছেলেটার স্কিন অ্যালার্জি থাকার কারণে জুতা ব্যবহার করতে পারে না। জুতা পরলে তার পায়ে ঘা হয়ে যায়। তাই আমার ছেলে স্কুলে জুতা পরে যায় না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভাঙ্গা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হায়দার হোসেন বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি।
ভাঙ্গা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জালাল উদ্দিন বলেন, আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জানলাম। যদি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাসুদুর রহমান বলেন, যতটুকু শুনেছি স্কুলড্রেস না পরার কারণে প্রধান শিক্ষক বাচ্চাদেরকে শাসন করছেন। তবে মারধরের বিষয়টি জানা নেই। যদি এরকম কোনো ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Shohidul Islam
SOMAJER ALO24