এবার স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাত্রী হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা আসবেন। পদ্মা সেতুতে ট্রেন চলাচল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন, যা ঘিরে সপ্তাহ ব্যাপী মহাকর্মজ্ঞ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি ঘুরে দেখবেন জংশন, বক্তব্য রাখবেন বিশাল জনসভায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবশেষ ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ ফরিদপুর শহরের রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে জনসভায় বক্তব্য দেন। প্রায় সাড়ে ছয় বছর পর তিনি আবার ফরিদপুরে জনসভায় অংশ নিচ্ছেন।
দীঘ দিনের স্বপ্ন, বছর, মাস পেরিয়ে অপেক্ষাটা এখন কয়েক ঘণ্টার। ঝিকঝিক শব্দে আরামদায়ক দুলুনিতে পদ্মা পাড়ি দিয়ে ঢাকায় যাওয়ার অধীর আগ্রহ এখন ফরিদপুরবাসীর। সরকার প্রধানের এই সফরে ট্রেনে তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন পেশার ১১ যাত্রী সঙ্গী হবেন। কথা বলবেন ও শুনবেন তাদের অভিব্যক্তি।
এ প্রসঙ্গে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার জানিয়েছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ফরিদপুরের সফরের সিদ্ধান্তের পরপরেই সরকার প্রধানের দপ্তর থেকে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছিল বিভিন্ন শ্রেণি পেশার একজন করে তালিকা করতে, যাদের সঙ্গে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) ঢাকা থেকে ফরিদপুরে ট্রেনে আসবেন। আমরা চেষ্টা করেছি সেই তালিকা তৈরির। এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। ১১ ব্যক্তিদের মঙ্গলবার সকালে বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকা পাঠানো হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর সফরে যারা ট্রেনযাত্রায় সঙ্গী হবেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক জেলা কমান্ডার আবুল ফয়েজ শাহ নেওয়াজ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান ফরিদ, সবজি বিক্রেতা হেলালউদ্দিন, গার্মেন্টস কর্মী রেখা বেগম, হকার রহিম শেখ, বাসচালক সুলতান আহমেদ, খ্রিস্টান মিশনের পালক সাথী চক্রবর্তী, আদর্শ পেঁয়াজ বীজ চাষি সাহিদা বেগম, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী স্বর্ণজিৎ ঘোষ, নুসরাত জাহান, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদাউস।
প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতু দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ট্রেন যাত্রা প্রসঙ্গে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান ফরিদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ করেছি, দেশ স্বাধীনের পর যে অনুভূতি ছিল ঠিক তেমনি প্রথম বারের মতো পদ্মা সেতুতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পাড়ি দেব এটা ভাবতে অবাক লাগছে।’
গার্মেন্টস কর্মী রেখা বেগম বলেন, ‘আমি সামান্য, খুব নগণ্য নারী। আমি কীভাবে এই সুযোগ পেলাম জানিনা। মহান আল্লাহ কাছে শুকরিয়া। তিনি যেন প্রধানমন্ত্রীকে দীর্ঘ হায়াত দান করেন।’
Shohidul Islam
SOMAJER ALO24